চন্দ্রকোনার রাধাবল্লভপুরে উড়ছে বিজেপির পতাকা। —নিজস্ব চিত্র।
জয় শ্রীরাম স্লোগানের সূত্রে ভোট মরসুমে রাতারাতি শিরোনামে উঠে আসা রাধাবল্লভপুরে লিড পেল বিজেপি।
অথচ আরামবাগ লোকসভা কেন্দ্রে জিতেছে তৃণমূল। চন্দ্রকোনা বিধানসভাতেও ঘাসফুলের লিড। কিন্তু চন্দ্রকোনারই অন্তর্গত রাধাবল্লভপুরে ঠিক উল্টো ছবি। পরিসংখ্যান বলছে, রাধাবল্লভপুর প্রাথমিক স্কুলের দু’টি বুথ ১৫৯ ও ১৬০-এ এগিয়ে রয়েছে বিজেপি। পদ্ম-প্রার্থী তপন রায় পেয়েছেন যথাক্রমে ৩৫২ ও ৩৭২টি ভোট। অন্য দিকে তৃণমূলের অপরূপা পোদ্দার পেয়েছেন যথাক্রমে ৩০০ ও ২৫৬টি ভোট।
সে দিনটা ছিল ৪ মে। খড়্গপুর থেকে চন্দ্রকোনা-মেদিনীপুর সড়ক ধরে চন্দ্রকোনায় রোড শো করতে যাচ্ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চন্দ্রকোনা ঢোকার মুখে রাধাবল্লভপুরে রাস্তায় কয়েকজন জয় শ্রীরাম স্লোগান দেয়। গাড়ি থামিয়ে সটান নেমে পড়েন মমতা। তারপর সুর চড়িয়ে বলেন, “এই পালিয়ে যাচ্ছিস কেন। সামনে আয়।”
মুহূর্তে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছিল সেই মুহূর্তের ভিডিয়ো। মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রকোনা ছাড়ার আগেই তিন জনজকে আটক করেছিল পুলিশ। তারপর থেকে বিজেপি-র প্রচারে ফিরে ফিরে এসেছে এই প্রসঙ্গ। খোদ নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহ সভা করতে এসে ওই প্রসঙ্গ তুলেছিলেন। অমিত শাহ তো ঘাটালের মঞ্চে প্রকাশ্যেই জয় শ্রীরাম শ্লোগান তুলে বলেছিলেন, “পারলে আমায় গ্রেফতার করুন।”
সেই রাধাবল্লভপুরে লিড পাওয়ায় গেরুয়া শিবির খুশি। জয় শ্রীরাম স্লোগান দিয়ে আটক হওয়া চন্দ্রকোনার বিজেপি যুব মোর্চার সভাপতি সীতারাম মিদ্যা বলছেন, “আমরা যে ভুল করিনি তা এলাকার মানুষ বুঝেছেন। তাই তাঁদের ধন্যবাদ।” আটক হওয়া অন্য দুই বিজেপি কর্মীর সায়ন মিদ্যা, বুদ্ধদেব দোলইয়ের আবার বক্তব্য, ‘‘জয় শ্রীরাম স্লোগানকে গালি বলে ভুল করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মানুষ তাই তাঁকে জবাব দিয়েছেন।’’
তৃণমূল নেতৃত্বের মুখে অবশ্য কুলুপ। দলের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সভাপতি অজিত মাইতি শুধু বলছেন, ‘‘ফলের বুথ ভিত্তিক পর্যালোচনা হবে।’’