বড় ‘ধুম’ লেগেছে

২০০৯ সালের লোকসভা ভোটে ১৯টি আসন জেতে তৃণমূল। তখন মুকুল মমতার দলীয় সহকর্মী। তার ১০ বছর পরে লোকসভা ভোটে ১৮টি আসনে এগিয়ে বিজেপি।

Advertisement

রোশনী মুখোপাধ্যায়

শেষ আপডেট: ২৪ মে ২০১৯ ০৪:১০
Share:

চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউয়ে বিজেপি পার্টি অফিসের সামনে। ছবি: সুমন বল্লভ

‘রং দে মোহে গেরুয়া’!

Advertisement

বৃহস্পতিবার লোকসভা নির্বাচনের গণনা চলাকালীন এটাই ছিল কলকাতার মুরলীধর সেন লেনের মূল সুর।

টিভি দেখে দেশ ও রাজ্যের গণ-প্রবণতা বুঝে নিয়ে এ দিন সকাল থেকেই দলে দলে গেরুয়া পরিহিত বিজেপি কর্মী-সমর্থক হাজির দলের রাজ্য দফতরের সামনে। তাঁদের কারও গায়ে ‘নমো এগেন’ লেখা গেরুয়া টি শার্ট, কারও মুখে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মুখোশ। কারও আঙুলে জয়সূচক ভি মুদ্রা, আবার কারও কোমর জয়ের তালে দোদুল্যমান। ব্যান্ড পার্টিতে জয়োচ্ছ্বাস। রাশি রাশি কালিপটকা ফাটানোর ধুম।

Advertisement

মেডিক্যাল কলেজ লাগোয়া চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউয়ের গলি এ দিন আক্ষরিক অর্থেই কমল-বন।

এই জয়োচ্ছ্বাসকে ‘গণতন্ত্র ফেরানোর জন্য মানুষের উৎসাহ’ বলে ব্যাখ্যা করছেন বিজেপি নেতারা। দলের জাতীয় কর্মসমিতির সদস্য মুকুল রায় এ দিন বলেন, ‘‘রাজ্যে গণতন্ত্র ফেরাতে মানুষ লড়াই করেছেন। এই জয় আমরা মানুষকেই উৎসর্গ করছি। বিজেপি, কংগ্রেস এবং সিপিএম— সব বিরোধীদের ভোট যোগ করলে দেখা যাচ্ছে তৃণমূল বৃহদংশের সমর্থন হারিয়েছে। এখন আর তৃণমূলের কেন্দ্রের সরকারে থাকার নৈতিক অধিকার নেই। রাজ্যে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত বিজেপির সংগ্রাম চলবে।’’

২০০৯ সালের লোকসভা ভোটে ১৯টি আসন জিতেছিল তৃণমূল। তখন মুকুলবাবু ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলীয় সহকর্মী। তার ১০ বছর পরে লোকসভা ভোটে ১৮টি আসনে এগিয়ে রইল বিজেপি। যখন মুকুলবাবু মমতার বিরুদ্ধে বিজেপিতে। এই পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতার প্রতি তাঁর বক্তব্য কী? মুকুলবাবু বলেন, ‘‘আজ কাউকে আঘাত করতে চাই না। শুধু নিজেদের কথাটা বলতে চাই।’’

বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ এবং মুকুলবাবু কিছু দিন ধরে দাবি করছেন, তৃণমূলের অন্তত ১০০ জন বিধায়ক তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। এ দিন লোকসভার ফলের পর তাঁদের মধ্যে কারা বিজেপিতে যোগ দিতে আগ্রহী? মুকুলবাবুর জবাব, ‘‘এ সব প্রশ্ন এখন ভাবছিই না। এখন কয়েক দিন জয়ের আনন্দ উদযাপন করব। গণতন্ত্র রক্ষার লড়াইয়ে কর্মী এবং মানুষের পাশে থাকব।’’ বিধানসভা ভোট কি এগিয়ে আসবে? এ ক্ষেত্রেও মুকুলবাবুর জবাব, ‘‘সেটা মানুষ ঠিক করবে।’’ পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষা-সংস্কৃতির মান উন্নয়ন, কর্মসংস্থান এবং শিল্পায়নের লক্ষ্যে বিজেপি সাংসদরা কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে দরবার করবেন বলেও মুকুলবাবু এ দিন দাবি করেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন