মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফাইল চিত্র।
কোথায় ত্রুটি ছিল, কেনই বা দলের এমন ফল হল, এ নিয়ে শনিবার পর্যালোচনা বৈঠকে বসলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধু পর্যালোচনা নয়। শনিবারের বৈঠকে সাংগঠনিক রদবদলের পথেও হাঁটতে পারেন তৃণমূল চেয়ারপার্সন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, জল্পনা তৃণমূলের অন্দরেই।
ফল প্রকাশের পরের দিনই বৈঠক— গত বেশ কয়েকটা বছরে এটাই রীতি হয়ে উঠেছিল তৃণমূলে। কিন্তু এ বার বৈঠক এক দিন পিছিয়ে ডেকেছেন নেত্রী। এর আগের ফলপ্রকাশ পরবর্তী বৈঠকগুলো মূলত যে রকম 'ফিল গুড' আবহে হয়েছিল, আজকের বৈঠকের মেজাজ তেমন না-ও হতে পারে বলে জোর জল্পনা।
শুধুমাত্র জয়ী প্রার্থীদের নির্দিষ্ট বার্তা দেওয়া আর পরাজিতদের উৎসাহিত করার মধ্যে এই বৈঠক সীমাবদ্ধ থাকছে না। যেখানে ৪২টা আসনেই জেতার লক্ষ্য স্থির করে দেওয়া হয়েছিল, সেখানে তৃণমূলের আসন সংখ্যা ৩৪ থেকে ২২-এ নেমে এল কেন? এই প্রশ্নের জবাব খোঁজার উপরেই আজ সবচেয়ে বেশি জোর দেওয়া হবে বলে খবর।
বিজেপির কাছে জোরদার ধাক্কা খাওয়ার পরে তৃণমূলের অন্দরে চাপানউতোরও ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। দলের এক তরুণ নেতার দিকে আঙুল তুলতে শুরু করেছেন অনেকে। ওই নেতা সরাসরি দেখভাল করছিলেন যে সব আসন, সেই সব এলাকাতেই ফল বেশি খারাপ হয়েছে বলে তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করছেন দলেরই একাংশ। বৈঠকে সে বিষয়ে কতটা আলোচনা হবে, দলনেত্রী ওই তরুণের দায়িত্ব কাটছাঁট করবেন কি না, সে দিকে নজর গোটা রাজের রাজনৈতিক শিবিরের।
শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়েও জল্পনা চলছে নানা রকম। উত্তরবঙ্গে দলের ফল খারাপ হওয়ার জন্য শুভেন্দুকে দায়ী করতে শুরু করেছেন বেশ কয়েকজন সিনিয়র নেতা। শুভেন্দু নিজেও মালদহের দায়িত্ব ছাড়তে চান বলে তৃণমূল সূত্রে শোনা যাচ্ছে। কিন্তু শুভেন্দু অধিকারীর দায়িত্ব এই বৈঠকে আরও বাড়ানো হতে পারে বলেও শোনা যাচ্ছে।
সব মিলিয়ে যে চেহারা এই বৈঠক নিতে পারে বলে শোনা যাচ্ছে, তা বেশ নজিরবিহীন তৃণমূলে।