ভারতী ঘোষ। ফাইল চিত্র।
অবসরপ্রাপ্ত আইপিএস অফিসার ভারতী ঘোষকে গ্রেফতার করার নির্দেশ দিল আদালত। শুক্রবার পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল এসিজেএম আদালত ওই নির্দেশ দিয়েছে। একা ভারতী নন, তাঁর প্রাক্তন দেহরক্ষী সুজিত মণ্ডলের নামেও একই পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
ভারতী যদিও এই মুহূর্তে রাজ্যের বাইরে রয়েছেন। দাসপুর থানায় করা একটি অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁর একাধিক বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছে সিআইডি। শুধু তাই নয়, পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার থাকাকালীন ভারতী ঘনিষ্ঠ হিসাবে পরিচিত একাধিক পুলিশ কর্মীর বাড়িতেও তল্লাশি চালানো হয়। তার পর থেকে ভারতী বেশ কয়েক বারই সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তিনি রাজ্যের বাইরে রয়েছেন। ভারতীর আরও দাবি, ওই অভিযোগে নাম না থাকা সত্ত্বেও তাঁর বাড়িতে বেআইনি ভাবে তল্লাশি চালিয়েছে সিআইডি। রাজ্যে ফিরে তিনি আইনি ব্যবস্থা নেবেন বলেও জানিয়েছিলেন।
কিন্তু, ভারতী কোথায় রয়েছেন? সে সম্পর্কে কিছুই জানাননি প্রাক্তন ওই আইপিএস অফিসার। নাকতলা এবং মাদুরদহের যে সমস্ত বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়, সিআইডি যদিও তার কোনওটিরই মালিক হিসাবে ভারতীর নাম উল্লেখ করেনি। এর পর শুক্রবারই গ্রেফতার করা হয় ঘাটালের প্রাক্তন সার্কল ইনস্পেকটর শুভঙ্কর দে এবং ঘাটাল থানার ওসি চিত্ত পালকে। দু’জনেই জেলা পুলিশে ভারতীর ঘনিষ্ঠ ছিলেন বলে একটা অংশের দাবি। নোটবন্দির সময়ে সোনায় টাকা বিনিয়োগের প্রতারণার একটি পুরনো মামলায় সম্প্রতি শুভঙ্কর এবং চিত্তবাবুর বাড়িতে তল্লাশি চালায় সিআইডি। সেই সময় হিসাব বহর্ভূত প্রচুর টাকা উদ্ধার হয় তাঁদের বাড়ি থেকে। গ্রেফতার করা হয় ওই দুই পুলিশ কর্মীকে। একই মামলায় এ বার ভারতী এবং সুজিতের নামেও গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করল আদালত।
আরও পড়ুন: এ বার কমলা গার্লস, নাইনের ছাত্রীকে যৌন হেনস্থার অভিযোগ
আরও পড়ুন: হার্দিক, মমতার নবান্নে বৈঠক, শুরু জোটচর্চা
সিআইডির ধারণা, উত্তর ভারতের কোথাও গা ঢাকা দিয়ে রয়েছেন ভারতী। মোবাইল টাওয়ার ট্র্যাক করে তারা জানতে পেরেছে, কয়েক দিন আগে পর্যন্ত তিনি দিল্লিতেই ছিলেন। তার পর তিনি গুজরাতের জামনগরে চলে যান। দিন কয়েকের মধ্যে ফের দিল্লিতে আসেন। তাঁর খোঁজে সিআইডির কয়েকটি দল ইতিমধ্যেই বিভিন্ন রাজ্যে রওনা দিয়েছে বলে সূত্রের খবর।