তরুণী নিখোঁজ, তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন

দেড় মাস ধরে খোঁজ নেই এক তরুণীর। সঙ্গীতা কুণ্ডু নামে ওই তরুণী মাল্টিজিমের সরঞ্জাম সরবরাহ করার একটি সংস্থার কর্মী। ওই সংস্থার একটি নাচের স্কুলও রয়েছে। ওই সংস্থার দফতরেরই উপরের একটি ঘরে একা থাকতেন ওই বিবাহিতা তরুণী।

Advertisement

কিশোর সাহা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ০১ অক্টোবর ২০১৬ ০৩:৩৬
Share:

দেড় মাস ধরে খোঁজ নেই এক তরুণীর। সঙ্গীতা কুণ্ডু নামে ওই তরুণী মাল্টিজিমের সরঞ্জাম সরবরাহ করার একটি সংস্থার কর্মী। ওই সংস্থার একটি নাচের স্কুলও রয়েছে। ওই সংস্থার দফতরেরই উপরের একটি ঘরে একা থাকতেন ওই বিবাহিতা তরুণী।

Advertisement

প্রায় দেড় মাস আগে, ১৭ অগস্ট থেকে সঙ্গীতা নিখোঁজ। তরুণীর বাড়ির লোকজন দাবি করেছেন, সঙ্গীতার যে খোঁজ নেই, সে কথাও তাঁদের জানানো হয়নি। ওই সংস্থার পরিমল সরকার থানায় মিসিং ডায়েরি করেছেন। কিন্তু পুলিশও কেন তারপরে সঙ্গীতার বাড়িতে গিয়ে খোঁজ করেনি, সে প্রশ্নেরও উত্তর মেলেনি। এই কারণে সংস্থার মালিক তো বটেই, পুলিশের একাংশের ভূমিকা নিয়েও ক্ষুব্ধ সঙ্গীতার বাড়ির লোকজন। তাঁরা উচ্চপর্যায়ের তদন্তের জন্য উত্তরবঙ্গের এডিজি তথা আইজি এন রমেশবাবুর কাছে আর্জি জানিয়েছেন।

পুলিশ সূত্রে খবর, শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার চেলিং সিমিক লেপচার কাছে বিশদে রিপোর্ট তলব করেছেন এন রমেশবাবু। শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার বলেছেন, ‘‘এই তরুণীকে খুঁজে বার করার চেষ্টা হচ্ছে।’’

Advertisement

পরিমলবাবুর বক্তব্য, সঙ্গীতার নিখোঁজ হওয়ার সঙ্গে তাঁর কোনও সম্পর্ক নেই। তদন্ত প্রভাবিত করারও কোনও চেষ্টা তিনি করেননি। বরং সঙ্গীতা নিখোঁজ হওয়ার পর থেকে অফিসের অনেক টাকার হিসেব তিনি পাচ্ছেন না। কিন্তু ইচ্ছে করেই ডায়েরিতে তিনি তা উল্লেখ করেননি। পরিমলবাবু বলেছেন, ‘‘আমার বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ করা হচ্ছে। আমি চাই ওঁকে খুঁজে বার করুক পুলিশ।’’

তবে পুলিশেরই একাংশের দাবি, সঙ্গীতা নিখোঁজ হওয়ার ৯ দিন পরে কেন মিসিং ডায়েরি করা হল? সঙ্গীতার বাড়ির লোকদের দিয়ে কেন ডায়েরি করানো হল না, সে প্রশ্নও উঠেছে। সঙ্গীতার মা অঞ্জলিদেবী জানান, ‘‘পরিমল জানতে চায় সঙ্গীতা বাড়িতে কি না, তার পরে ফোন কেটে দেয়। মেয়ের যে খোঁজ নেই, তা জানায়নি।’’

অঞ্জলিদেবী জানিয়েছেন, সঙ্গীতার ঘরের একটি চাবি পরিমলবাবুর কাছেও থাকত। তরুণীর দাদা শম্ভুবাবু বলেন, ‘‘বোনের বিয়ে দিয়েছিলাম। স্বামীর সঙ্গে বনিবনা হয়নি। তারপর ও চাকরি নিয়ে একাই থাকতে শুরু করলে আমরা রাগ করে যোগাযোগ প্রায় বন্ধ করে দিয়েছিলাম।’’ তাঁর কথায়, সেপ্টেম্বরে বোনের খোঁজ মিলছে না শুনে ওই সংস্থার অফিসে যান। তখন তাঁদের ‘যেখানে খুশি যান, যা খুশি করে নিন’ বলে প্রায় ভাগিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। পর

দিন থানায় গেলে অভিযোগ নিতে চাওয়া হয়নি বলেও দাবি করেছেন তিনি। শেষ পর্যন্ত আইজি-র দ্বারস্থ হয়েছেন তাঁরা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
আরও পড়ুন