জেল হেফাজতে কাউন্সিলরের মৃত্যুর পর কালো পতাকা নিয়ে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে পাহাড়ে। ইনসেটে মৃত কাউন্সিলর বরুণ ভুজেল। — নিজস্ব চিত্র।
সাব-ইনস্পেক্টর অমিতাভ মালিকের মৃত্যুর রেশ এখনও কাটেনি। তার মধ্যেই আর এক মৃত্যুকে ঘিরে রহস্য জমাট পাহাড়ে।
কালিম্পং পুরসভার মোর্চা কাউন্সিলর বরুণ ভুজেলের মৃত্যু হল জেল হেফাজতে। স্বাভাবিক কারণেই এই মৃত্যুকে ঘিরে তীব্র বিতর্ক শুরু হয়ে গিয়েছে রাজ্যের রাজনৈতিক শিবিরে। জেল হেফাজতে মোর্চা কাউন্সিলরের মৃত্যুতে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বিজেপি। রাজ্য বিজেপি-র সভাপতি দিলীপ ঘোষ এই মৃত্যুকে ‘খুন’ আখ্যা দিয়েছেন।
গুরুঙ্গপন্থীদের দাবি, গত ১৬ জুন পুলিশ মিথ্যা অভিযোগে গ্রেফতার করেছিল কাউন্সিলর বরুণ ভুজেলকে। পুলিশ হেফাজতে থাকাকালীন তাঁর উপরে প্রবল অত্যাচার হয়েছিল, তার জেরেই বরুণ অসুস্থ হয়ে পড়েন। অভিযোগ গুরুঙ্গপন্থীদের। বরুণ ভুজেলের ভাইয়ের অভিযোগ, জেল হেফাজতে থাকাকালীনও অসুস্থ কাউন্সিলরের উপযুক্ত চিকিৎসা হচ্ছিল না। নিজেদের খরচে বরুণের চিকিৎসা করাতে চেয়েছিল পরিবার, কিন্তু প্রশাসন রাজি হয়নি। অভিযোগ তাঁর।
প্রশাসন অবশ্য মোর্চা কাউন্সিলরের উপযুক্ত চিকিৎসা না হওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করছে। সরকারি হাসপাতালেই তাঁর চিকিৎসা চলছিল, পরিস্থিতি গুরুতর বলেই বরুণ ভুজেলকে কলকাতায় পাঠানো হয়েছিল, বলছে প্রশাসন। কলকাতার হাসপাতালেই বরুণের মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন: এসআই মৃত্যুর সিবিআই তদন্ত হোক, দাবি গুরুঙ্গের
মোর্চা কাউন্সিলরের মৃত্যুতে দার্জিলিঙের সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এস এস অহলুওয়ালিয়া গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। তবে রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষের সুর আরও চড়া। তিনি বলেছেন, ‘‘বরুণ ভুজেলকে সরকার ইচ্ছাকৃত ভাবে খুন করেছে। চার মাস ধরে তাঁকে জেলে রাখা হয়েছিল। অসুস্থ ভুজেলের সঙ্গে তাঁর বাড়ির লোকজনকে দেখা করতে দেওয়া হয়নি।’’ দিলীপ ঘোষের প্রশ্ন, ‘‘এক জন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির যেখানে চিকিৎসা নেই, সুরক্ষা নেই, বাঁচার অধিকার নেই, সেখানে রাজ্যে গণতন্ত্র কোথায়?’’
আরও পড়ুন: ওপরওয়ালা চাইলে ডেঙ্গি হবে! দোহাই তৃণমূল বিধায়কের
অমিতাভ মালিকের মৃত্যু নিয়েও এ দিন ফের বিতর্ক উস্কে দিয়েছেন দিলীপ ঘোষ। রাজ্য সরকারকে তীব্র আক্রমণ করে তিনি ফের বলেছেন, ‘‘সিআইডিকে দিয়ে তদন্ত করিয়ে অমিতাভ মালিকের মৃত্যুরহস্য চেপে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। ছেলেটাকে ওখানে পাঠিয়ে হত্যা করা হয়েছে।’’ বিমল গুরুঙ্গের সুরেই দিলীপ ঘোষেরও দাবি, অমিতাভ মালিকের মৃত্যুর সিবিআই তদন্ত হোক।