চাপে পড়ে ছাড় বন্‌ধে, নরম হলেন বিমল গুরুঙ্গ

দিন দু’য়েক আগেই মোর্চা সভাপতি গুরুঙ্গ দাবি করেছিলেন, আপাতত বন্‌ধ শিথিলের কোনও প্রশ্নই নেই। কিন্তু রবিবারই মোর্চা জানাল, ইদে আজ, সোমবার সকাল ৬টা থেকে সন্ধে ৬টা পর্যন্ত বন্‌ধ শিথিল করা হচ্ছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

দার্জিলিং ও শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ২৬ জুন ২০১৭ ০৩:৫৬
Share:

ছবি: সংগৃহীত।

চাপের মুখে আবার নরম হলেন বিমল গুরুঙ্গ।

Advertisement

দিন দু’য়েক আগেই মোর্চা সভাপতি গুরুঙ্গ দাবি করেছিলেন, আপাতত বন্‌ধ শিথিলের কোনও প্রশ্নই নেই। কিন্তু রবিবারই মোর্চা জানাল, ইদে আজ, সোমবার সকাল ৬টা থেকে সন্ধে ৬টা পর্যন্ত বন্‌ধ শিথিল করা হচ্ছে। মোর্চার দাবি, ধর্মীয় কারণেই বন্‌ধে ছাড় দেওয়া হচ্ছে। তবে মোর্চারই অন্দরের খবর, রাজনৈতিক কারণেই কড়া অবস্থান থেকে সরতে বাধ্য বলেন গুরুঙ্গ।

এ দিন শিলিগুড়িতে অন্তত দশ হাজার মানুষের গোর্খাল্যান্ড বিরোধী স্বতঃস্ফূর্ত মিছিলও চাপ বাড়িয়েছে মোর্চার উপরে। পাহাড়ের অন্য যে দলগুলো মোর্চার সঙ্গে গোর্খাল্যান্ডের দাবি নিয়ে মাঠে নেমেছে, তারাও গুরুঙ্গের বারবার একক ঘোষণায় বিরক্ত। তাদের বক্তব্য, ১৭টি দল নিয়ে যখন একটি মঞ্চ তৈরি হয়েছে, তখন গুরুঙ্গ কেন আগ বাড়িয়ে বন্‌ধ শিথিল করা হবে না বলে আগে ঘোষণা করে দিয়েছিলেন?

Advertisement

বিশেষ করে পাহাড়ে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অনেক মানুষ থাকেন। তাঁরা গোর্খ্যাল্যান্ডের সমর্থনে মিছিলও করেছেন। সেখানে ইদের দিন বন্‌ধ বহাল রাখা কতটা যুক্তিযুক্ত, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। শনিবারই গুরুঙ্গের মন্তব্য নিয়ে ক্ষোভ উগরে দেন গোর্খা রাজ্য নবনির্মাণ মোর্চার কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি দাওয়া পাখরিন। এরপরেই পুরনো অবস্থান থেকে পিছিয়ে আসতে হয় গুরুঙ্গকে। টানা বন্‌ধে পাহাড়ে খাবারের ভাঁড়ারেও টান পড়েছে।

আরও পড়ুন:রেডি রাখুন ৫০ লক্ষ, হয়ে যাবে ডাক্তারি

শিলিগুড়ির মিছিলেও উদ্বিগ্ন মোর্চা নেতৃত্ব। এ দিন লোকমুখে এবং সোশ্যাল নেটওয়ার্কে আর্জি জানিয়েই শিলিগুড়িতে বিরাট মিছিলের আয়োজন হয়। এর ফলে রাজ্যের গোর্খাল্যান্ড বিরোধী অবস্থান যে শক্ত করবে তাই নয়, কেন্দ্রীর কাছেও বার্তা যাবে বলে মনে করছেন মোর্চা নেতারা। তবে মোর্চার এক নেতার কথায়, ‘‘যা বলার বৃহস্পতিবার সর্বদল বৈঠকের পরেই বলা হবে।’’

তবে পাল্টা চাপ তৈরির চেষ্টা করে চলেছে মরিয়া মোর্চাও। চকবাজার থেকে মোর্চার একটি বড় মিছিল এ দিন জেলাশাসকের অফিসের দিকে যায়। মঙ্গলবার জিটিএ চুক্তি পোড়ানোর কথা। সেই সঙ্গে জানানো হয়েছে, যুব মোর্চার কর্মী সমর্থকরা গায়ে টিউবলাইটের আঘাত মারতে মারতে মিছিল করবেন।

তবে দু’দিন বন্ধ থাকার পরে রবিবার বিকেলের পরে সিকিমের বাস পরিষেবা কিছুটা স্বাভাবিক হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন