Election

Election: পাহাড়ে ভোট দিলেন না গুরুং, কিছুটা উত্তেজনা শিলিগুড়িতে, শান্তিতে ভোট চলছে ঝালদায়

রবিবার সকাল থেকে পাহাড় জুড়ে বৃষ্টি। তার মধ্যেই শুরু হয় ভোটগ্রহণ। বেলা ১১টা পর্যন্ত পাহাড়ে ভোটদানের হার ২৪.৪ শতাংশ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৬ জুন ২০২২ ১৩:১৫
Share:

ভোট দিলেন না বিমল গুরুং। — ফাইল চিত্র।

বছর দশেক বাদে ভোট হচ্ছে গোর্খা আঞ্চলিক পরিষদ (গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বা জিটিএ)-তে। কিন্তু সেই নির্বাচনে অংশগ্রহণই করলেন না বিমল গুরুং। তবে ভোটের খোঁজখবর নেবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত পাহাড়ে ভোটগ্রহণ শান্তিপূর্ণ। তবে রবিবার শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের ভোটগ্রহণ শুরুর আগে কিছুটা অশান্তি দেখা দেয় ফাঁসিদেওয়ায়।

Advertisement

২০১২ সালে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিটিএ-র ক্ষমতা দখল করেছিল বিমল গুরুঙের নেতৃত্বাধীন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। ২০১৭ সালে ওই বোর্ডের মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। তার ১০ বছর বাদে ভোট পাহাড়ে। রবিবার সকাল থেকে অবশ্য পাহাড় জুড়ে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। তার মধ্যেই শুরু হয় ভোটগ্রহণ। এ বার জিটিএ ভোটে অংশগ্রহণ করেনি গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। ভোট দেননি গুরুং। ভোটে নেই বিজেপিও। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে গুরুং বলেন, ‘‘আমি নিজে ভোট দেব না। কিন্তু কোনও ব্যক্তির গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগে বাধাও দিতে পারি না। তবে ভোটের খোঁজখবর নেব। আমি চাই শান্তিপূর্ণ ভাবে নির্বাচন হোক।’’

রবিবার সকাল থেকেই উত্তপ্ত ছিল শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের ভোট পরিস্থিতি। ভোট শুরুর আগেই ফাঁসিদেওয়া ব্লকের চটহাটে নির্দল প্রার্থীর পোলিং এজেন্টকে মারধরের অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। যদিও তৃণমূল সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। বেলার দিকে আপার বাগডোগরা এলাকায় তৃণমূল এবং বিজেপির মধ্যে হাতাহাতির অভিযোগও উঠেছে।

Advertisement

বিকেল ৪টে পর্যন্ত পাহাড়ে ভোট পড়েছে ৫৬.৫ শতাংশ। বিকেল ৫টা পর্যন্ত শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদে ভোট পড়েছে ৭৮.৩০ শতাংশ। চন্দননগর পুরনিগমের ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের উপনির্বাচনে ভোট পড়েছে ৭৩.১১ শতাংশ। ঝালদা পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের উপনির্বাচনে ভোট পড়েছে ৮০.৮৬ শতাংশ। দমদমের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের উপনির্বাচনে ভোট পড়েছে ৭২.০৯ শতাংশ। দক্ষিণ দমদমের ২৯ নম্বর ওয়ার্ডে ভোট পড়েছে ৬৯.৩৬ শতাংশ। ভাটপাড়ার ৩ নম্বর ওয়ার্ডে ভোট পড়েছে ৭৪.৪১ শতাংশ। পানিহাটির ৮ নম্বর ওয়ার্ডে ভোট পড়েছে ৫৮.৬৯ শতাংশ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন