ছবি: সংগৃহীত
মুখ্যমন্ত্রী হওয়া ইস্তক যত বার পাহাড়ে গিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সঙ্গে ছিলেন রাজ্যের নিরাপত্তা অধিকর্তা বীরেন্দ্র। এ বারই মুখ্যমন্ত্রীর দার্জিলিং সফরে ছিলেন না তিনি। আর এ বারই পাহাড়ে মুখ্যমন্ত্রীর সামনে একের এক অঘটন ঘটল। তাই সোমবার ফের মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্বে ফিরিয়ে আনা হয়েছে বীরেন্দ্রকে।
সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, রাজ্য পুলিশের সশস্ত্র বাহিনীর ডিজি বীরেন্দ্রকে ফের ডিজি, সিকিউটিরিটি পদে বহাল করা হয়েছে। রাজ্য প্রশাসনের এক শীর্ষ কর্তা জানান, মুখ্যমন্ত্রীর সদ্য সমাপ্ত পাহাড় সফরে নিরাপত্তা বলয়ে অনেক ফাঁকফোকর ছিল। সে কথা মাথায় রেখেই পদক্ষেপ করা হয়েছে। পুলিশের এক শীর্ষ কর্তা জানান, পাহাড়ে মোর্চার তাণ্ডবে খোদ মুখ্যমন্ত্রী বিস্মিত ও অসন্তুষ্ট।
বস্তুত, মুখ্যমন্ত্রী নিরাপত্তা বিধি খুব একটা যে মানেন না, সেটা এখন প্রায় সকলেই জানেন। হঠাৎ গাড়ি থেকে নামা কিংবা হেঁটে কারও বাড়িতে ঢুকে পড়ার অভ্যাস পাল্টায়নি। যেমন, ৬ জুন বেলা ১০টা নাগাদ মুখ্যমন্ত্রী পাহাড়ে হেঁটে বেড়ানোর সময়ে চিড়িয়াখানার অদূরে তাঁর রাস্তায় পুলিশের গাড়ির পিছনে চলে এসেছিল মোর্চা সভাপতি বিমল গুরুঙ্গের গাড়ি। গাড়ির ধোঁয়ার হাত থেকে বাঁচতে মুখ্যমন্ত্রী রাস্তার ধারে পাহাড়ের দিকে ঘুরে দাঁড়ান। তাঁর ঠিক পাশ দিয়ে চলে যায় গুরুঙ্গ ও তাঁর পারিষদদের গাড়ি। উদ্বিগ্ন নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞদের মতে, মুখ্যমন্ত্রীর সুরক্ষা বলয় যে অক্ষুণ্ণ ছিল না, তা এই ঘটনা থেকেই বোঝা গিয়েছিল।
অথচ তারপরেও মন্ত্রিসভার বৈঠকের সময় উপযুক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। যেখানে নানা গোলমালের আশঙ্কা, সেখানে আগাম পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে দু’টি ক্ষেত্রেই বিকল্প রাস্তার ব্যবস্থা না রাখাটা নিরাপত্তায় বড় গাফিলতি বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সেই সুবাদেই সাম্প্রতিক অতীতে যিনি নিরাপত্তার দায়িত্ব পেয়েছিলেন, সেই এডিজি সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়ের মাথার উপরে ফের বীরেন্দ্রকে বহাল করা হল বলে একান্তে মানছেন পুলিশ-প্রশাসনের অনেকেই।