সিঙ্গুরের জমিতে শেড ভাঙা শুরু

জল্পনা চলছিল বেশ কিছুদিন ধরে। সোমবার সেই জল্পনার অবসান হল। সিঙ্গুরে টাটা প্রকল্পের শেড ভাঙার কাজ শুরু করল রাজ্য সরকার। এ দিন প্রকল্প এলাকার সানাপাড়ায় বিদ্যুতের যে সাব-স্টেশন রয়েছে, তার লাগোয়া শেডটিই ভাঙার কাজ শুরু হয়।

Advertisement

গৌতম বন্দ্যোপাধ্যায়

সিঙ্গুর শেষ আপডেট: ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০২:০৬
Share:

শেড ভাঙার কাজে নেমেছে পুরসভা ও পূর্ত দফতরের লোকজন। সোমবার সিঙ্গুরে প্রকল্প এলাকায় ছবি তুলেছেন দীপঙ্কর দে।

জল্পনা চলছিল বেশ কিছুদিন ধরে। সোমবার সেই জল্পনার অবসান হল।

Advertisement

সিঙ্গুরে টাটা প্রকল্পের শেড ভাঙার কাজ শুরু করল রাজ্য সরকার। এ দিন প্রকল্প এলাকার সানাপাড়ায় বিদ্যুতের যে সাব-স্টেশন রয়েছে, তার লাগোয়া শেডটিই ভাঙার কাজ শুরু হয়। তিনটি জেসিবি মেশিন আছড়ে পড়ছিল শেডের টিনের দেওয়ালে। যন্ত্রের মোটা কাঁটার টানে টিনগুলি খুলে পড়ছিল এক এক করে। ন’বছর আগে এই সিঙ্গুরই দেখেছিল প্রকল্পের শেড তৈরির কাজ। সোমবার দেখল ভাঙা।

শীর্ষ আদালত ওই জমি ১২ সপ্তাহের মধ্যে চাষিদের ফেরাতে বলেছে। ইতিমধ্যে প্রায় তিন সপ্তাহ কেটে গিয়েছে। কিন্তু প্রকল্প এলাকায় থাকা ছ’টি শেডের কী হবে, এ নিয়ে প্রশাসনের অন্দরেই জল্পনা চলছিল বেশ কিছুদিন ধরে। শেষমেশ সেই শেড সরানোর কাজ হল।

Advertisement

সোমবার বেলায় কলকাতা পুরসভা এবং পূর্ত দফতরের মোট ৪০ জনের দু’টি দল শেড ভাঙার কাজে হাত লাগায়। প্রথমে গ্যাস-ক্যাটার দিয়ে শে়ডের বন্ধ কোলাপসিবল গেট কাটার কাজ শুরু করেন কর্মীরা। জেসিবি মেশিন দিয়ে শেডের টিনের দেওয়াল ভাঙা হয়। বিকেলে শেডের ছাদে উঠেও কর্মীরা টিনের চাদর খুলে ফেলার কাজে হাত দেন। পে-লোডার দিয়ে ভাঙা টিনের দেওয়ালগুলি সরিয়ে রাখা হচ্ছিল। এ দিন কাজ শেষ পর্যন্ত দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ে লাগোয়া ওই শেডের অনেকটাই ভাঙার কাজ হয়ে যায়। শেডের ভিতরে থাকা দু’একটি ন্যানো গাড়ির খোল অবশ্য সরানো হয়নি। এ দিন প্রকল্প এলাকায় রাজ্য সরকারের তরফে মন্ত্রী তপন দাশগুপ্ত কাজের গতিপ্রকৃতি দেখতে আসেন।

ভাঙার কাজে নামা কলকাতা পুরসভার কর্মী মেহেফুজ আলম, রাকেশ সাউয়েরা জানান, টিনের দেওয়াল আর ছাদ ভেঙে ফেলার পরেই ফ্রেম খুলে ফেলার কাজ হবে। তবে সেই কাজ শুরু করতে কয়েক দিন সময় লাগবে বলে মনে করছেন তাঁরা। প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, “প্রাথমিক ভাবে ৪০ জনকে দিয়ে কাজ শুরু হল। পরে যদি দেখা যায় আরও কর্মী প্রয়োজন, তখন কলকাতা পুরসভা থেকে চেয়ে পাঠানো হবে।”

প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, কারখানা চত্বরের পাশে শিল্প উন্নয়ন নিগমের ১৩ একরের একটি ফাঁকা জমি রয়েছে। প্রকল্পের শেড ভেঙে যে সব মালপত্র বের করা হচ্ছে, সেগুলি ওই জমিতেই রেখে দেওয়া হবে। পরবর্তী সময়ে সরকার ঠিক করবে সেগুলির কী হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
আরও পড়ুন