এ রাজ্যে বছরে গড়ে তিন হাজারের বেশি মানুষ ট্রেনে কাটা পড়েন। সেগুলো ময়না-তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানোর আগে রাখা হয় রেল পুলিশের (জিআরপি) হেপাজতে। তার জন্য প্রতিটি জিআরপি থানায় একটি ঘর থাকে। শিয়ালদহ রেল পুলিশ এখন সেই ঘর নিয়েই জেরবার। ওই ‘লাশঘর’ বদলের জন্য রেলের কাছে জায়গা চেয়েছে জিআরপি।
রেল পুলিশ বলছে, শিয়ালদহ স্টেশন লাগোয়া ওই ঘরটি এতই ছোট যে, কোনও ভাবেই স্থান সঙ্কুলান করা যাচ্ছে না। এ দিকে, লাশ জমলেই ইঁদুরের উপদ্রব বাড়ছে।
এক পুলিশকর্তা বলেন, শিয়ালদহ রেল পুলিশের আওতায় থাকা আটটি থানা এলাকায় কোনও অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘটলে দেহ পাঠানো হতো নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজে। এর ফলে অনেক সময় লাশ জমে যেত।
বছর খানেক ধরে ব্যারাকপুর ও নৈহাটি জিআরপি থানা এলাকার দেহ পাঠানো হচ্ছে আর জি কর হাসপাতালে। তাতে লাশঘরের উপরে কিছুটা চাপ কমলেও সমস্যা পিছু ছাড়ছে না রেল পুলিশের। রেল পুলিশের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০১৬ সালে হাওড়া ডিভিশনে ১১৯৪, শিয়ালদহে ১১১২, শিলিগুড়িতে ৩৫২ এবং খড়্গপুর ডিভিশনে ৬২০ জনের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়।