পরিস্রুত পানীয় জল পাওয়া নাগরিকদের অধিকার হলেও এখনও অনেকেই তা পান না বলে মনে করেন রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী। তাই তাঁদের অনেককেই দূষিত জল পান করতে হয়। এ চিত্র শুধু এ দেশে নয়, বাইরের একাধিক দেশেও রয়েছে। ওই সমস্ত মানুষের কাছে শুদ্ধ পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার চ্যালেঞ্জ নিতে হবে বলে জানান রাজ্যপাল।
শনিবার কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের আলিপুর ক্যাম্পাসে পরিস্রুত জল ও শৌচালয়ের বন্দোবস্ত (স্যানিটেশন) নিয়ে আন্তর্জাতিক সেমিনারের আয়োজন করে ওয়েস্ট বেঙ্গল ফেডারেশন অব ইউনাইটেড নেশনস অ্যাসোসিয়েশনস। রাজ্যপাল ছাড়াও হাজির ছিলেন ওই প্রতিষ্ঠানের সভাপতি তথা সাংসদ সৌগত রায়, কলকাতায় নিযুক্ত মার্কিন কনসাল জেনারেল জোনাথান টি ওয়ার্ড, উপাচার্য আশুতোষ ঘোষ-সহ
আরও অনেকে।
তাঁর ভাষণে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রশংসা করে রাজ্যপাল বলেন, খোলা মাঠে শৌচকর্ম বন্ধ করে ঘরে ঘরে শৌচাগার বসানোর লক্ষ্যে জোরদার অভিযানে নেমেছে স্বচ্ছ ভারত মিশন। তাঁর ধারণা, সে কাজে দ্রুত গতিতে এগোচ্ছে সরকার। তবে স্বচ্ছ ভারত মিশনে কেন্দ্রীয় সরকারের বরাদ্দ অনুদান রাজ্যগুলিতে খুবই কম বলে মন্তব্য করেছেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। তা সত্ত্বেও ২০১৪-এ স্বচ্ছ ভারত মিশন অভিযান শুরুর পরে দু’বছরে শৌচ ব্যবস্থা ৪২ শতাংশ থেকে ৫৭ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। ২০২০-এর মধ্যে ঘরে ঘরে শৌচালয়ের প্রকল্পের কাজে সাফল্য মিলবে। তবে চিন্তা বাড়ছে পরিস্রুত পানীয় জল সরবরাহ নিয়েই। জলবাহিত রোগ প্রতি বছরই মৃত্যুর কারণ ঘটাচ্ছে। তাই পরিস্রুত পানীয় জল সরবরাহ করাই সরকারের প্রধান চ্যালেঞ্জ হওয়া দরকার বলে মনে করছেন উদ্যোক্তারা।