ক্ষমতা থাকলে বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘেরাও নিষিদ্ধ করে দিতেন বলে কয়েক দিন আগে মন্তব্য করেছিলেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদায়ী অস্থায়ী উপাচার্য সুগত মারজিত। শনিবার তাঁর ওই বক্তব্যকে সমর্থন জানালেন রাজ্যপাল ও শিক্ষামন্ত্রী।
কখনও ছাত্র ভোটের দাবিতে, কখনও যৌন নিগ্রহের অভিযোগের তদন্তকে কেন্দ্র করে বার বার পড়ুয়াদের ঘেরাওয়ের মুখে পড়েছেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক উপাচার্য। বাদ যাননি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুগত মারজিতও। প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের ঘরের ভিতরে ঢুকে ঘেরাওয়ের নামে টেবিলের উপরে উঠে নাচানাচি করেছিলেন এক দল পড়ুয়া।
বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিদায় নেওয়ার আগে এই ঘেরাও নিয়েই সরব হন সুগতবাবু। শনিবার কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে এক অনুষ্ঠানের শেষে বিদায়ী উপাচার্যের ওই মন্তব্য সম্পর্কে তাঁর প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে আচার্য তথা রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী বলেন, ‘‘শিক্ষাজগতে তাঁর অভিজ্ঞতা থেকে তিনি (সুগতবাবু) এ কথা বলেছেন। যা বলেছেন, তার প্রতি আমাদের সম্মান দেখানো উচিত।’’
আরও এক ধাপ এগিয়ে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, ‘‘শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ঘেরাও পুরোপুরি বেআইনি।’’এ দিন স্কটিশ চার্চ কলেজের এক অনুষ্ঠানের শেষে তিনি বলেন, ‘‘সরকার বরাবরই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ঘেরাওয়ের বিরুদ্ধে। ওঁর (সুগত মারজিত) কথা যুক্তিযুক্ত।’’
ঘেরাওয়ের বিরোধিতা করেও ভিন্ন মত জানিয়েছেন কলকাতার নতুন অস্থায়ী উপাচার্য আশুতোষ ঘোষ। শুক্রবার দায়িত্ব নিয়ে তিনি বলেছেন, ‘‘নিষিদ্ধ করে কোনও প্রবণতা আটকানো মুশকিল। আমি অন্তত চেষ্টা করব পড়ুয়াদের বোঝানোর।’’
ঘেরাও রুখতে সরকার কি কোনও পদক্ষেপ করবে? শিক্ষামন্ত্রীর জবাব, ‘‘যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ঘেরাও হবে, সেখানকার কর্তৃপক্ষ পদক্ষেপ করুক। সরকার পাশে থাকবে। সরাসরি নাক গলাবে না।’’