উপাচার্যের তিন পাতার ইস্তফাপত্র বাতিল হয়ে গেল আচার্যের কাছে গিয়ে। শুক্রবার ছুটি থাকায় কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটে এমনিতেই তালা। তবে ছাত্রদের লাগানো পোস্টার ঝুলছে, ‘উপাচার্যের ইস্তফা আমরা চাই না।’ উপাচার্য রতনলাল হাংলু’র মোবাইল ফোন বন্ধ। বাড়ির ফোনও বেজে গিয়েছে দিনভর। কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের অচলাবস্থার জন্য ছাত্রদের প্রতি যেমন কড়া মনোভাব দেখিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় তেমনি উপাচার্যকেও সমান দায়ী করেছেন। তবে পার্থবাবু বলেন, ‘‘রাজ্যপালের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। শিলিগুড়ি থেকে ফিরে ওঁর সঙ্গে দেখা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিষয় নিয়ে নিয়ে কথা বলব। তবে রতনলাল হাংলুকে আমরা ছাড়ছি না। রাজ্যপালও বলেছেন, ইস্তফার প্রশ্নই নেই এখন।’’ শুক্রবার সকালে ব্যারাকপুর গাঁধী ঘাটে গিয়েও তড়িঘড়ি অনুষ্ঠান সেরে কলকাতায় ফিরে যান রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী। এ দিন তিনিও কল্যাণী প্রসঙ্গ এড়িয়ে গিয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের অচলাবস্থা নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে রাজ্যপাল বলেন, ‘‘আজ শান্তির দিন। শান্তির বার্তা পৌঁছোক সর্বত্র।’’