ছাত্র-সংঘর্ষে রক্ত ঝরল জয়পুরিয়ায়

এক দিকে রয়েছেন বিদায়ী ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক শুভজিৎ দত্ত। অন্য দিকে সহ-সাধারণ সম্পাদক রাজর্ষি হাজরা। অভিযোগ, রাজর্ষিকে নিয়ন্ত্রণ করেন কলেজের কিছু প্রাক্তনী। গত ডিসেম্বরে কলেজে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পত্রিকা খাতে বরাদ্দ হয়েছিল সাড়ে ১০ লক্ষ টাকা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০১ অগস্ট ২০১৭ ০৪:৩২
Share:

আহত: অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় ও রৌনক দে। ছবি: দেবস্মিতা ভট্টাচার্য

ভর্তি নিয়ে বিভিন্ন কলেজে টাকার লেনদেন-সহ নানান অনিয়মের অভিযোগ-স্রোত থামেনি। তার মধ্যেই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং ম্যাগাজিন বা পত্রিকার অর্থের হিসেব ঘিরে রক্ত ঝরল শেঠ আনন্দরাম জয়পুরিয়া কলেজে। যুযুধান সেই তৃণমূল ছাত্র পরিষদ (টিএমসিপি)-এর দুই গোষ্ঠী। সোমবার দুপুরে কলেজ ক্যাম্পাসে পুলিশের সামনেই চরমে উঠল দুই গোষ্ঠীর কাজিয়া।

Advertisement

কলেজ সূত্রের খবর, দিবা বিভাগের পড়ুয়াদের মধ্যে রয়েছে দু’টি গোষ্ঠী। এক দিকে রয়েছেন বিদায়ী ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক শুভজিৎ দত্ত। অন্য দিকে সহ-সাধারণ সম্পাদক রাজর্ষি হাজরা। অভিযোগ, রাজর্ষিকে নিয়ন্ত্রণ করেন কলেজের কিছু প্রাক্তনী। গত ডিসেম্বরে কলেজে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পত্রিকা খাতে বরাদ্দ হয়েছিল সাড়ে ১০ লক্ষ টাকা। সেই টাকা তছরুপের অভিযোগ ওঠে কিছু প্রাক্তনী এবং রাজর্ষির গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে। তার পরে দু’পক্ষের বিরোধ তুঙ্গে ওঠে। এ দিন অধ্যক্ষ অশোক মুখোপাধ্যায়ের কাছে বিক্ষোভ দেখায় দু’পক্ষই।

‘‘পড়ুয়াদের বলেছিলাম, ব্যাপারটা নিজেদের মধ্যে মিটিয়ে নাও,’’ বললেন অধ্যক্ষ। দুপুরে তিনি কলেজ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরেই দুই গোষ্ঠীর মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ শুরু হয়। মাটিতে ফেলে মারধর করা হয় প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়াদের। মাথা ফেটে যায় প্রথম বর্ষের পড়ুয়া রৌনক দে এবং দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়া অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের। মাথা ফেটে রক্তঝরা অবস্থায় দৌড়ে বাইরে চলে আসেন তাঁরা। তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। গোটা ঘটনাই ঘটে পুলিশকর্মীদের সামনে।

Advertisement

টিএমসিপি-র রাজ্য সভানেত্রী জয়া দত্ত বলেন, ‘‘ওই কলেজে আমাদের কোনও ইউনিট নেই। আমি কিছু বলতে পারব না।’’ তবে কলেজের একটি বড় অংশের বক্তব্য, যুযুধান দু’পক্ষই টিএমসিপি-র কর্মী-সমর্থক এবং দুই মন্ত্রীর অনুগামী। দুই মন্ত্রীর মধ্যে সাধন পাণ্ডে বলেন, ‘‘এদের আসল পরিচয়, এরা ছাত্র। এরা সকলেই তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কর্মী-সমর্থক। আমার কোনও লবি নেই।’’ অন্য মন্ত্রী শশী পাঁজা জানান, এখানে কোনও গোষ্ঠীর ব্যাপার নেই। ‘‘এটা কলেজ এবং পড়ুয়াদের অভ্যন্তরীণ বিষয়,’’ বলেন শশীদেবী।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন