চুক্তি পুড়িয়ে আন্দোলনের ডাক গুরুঙ্গর

পাহাড়ের বিভিন্ন সম্প্রদায়ের জন্য রাজ্য সরকারের একের পর এক বোর্ড গঠনে পায়ের তলার মাটি ক্রমশ সরছে। এ বার তা আটকাতে মরিয়া গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা নেতারা রাজ্যের উপর প্রশাসনিক এবং রাজনৈতিক চাপ বাড়ানোর ছক কষছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৬ অগস্ট ২০১৬ ০২:৫৪
Share:

পাহাড়ের বিভিন্ন সম্প্রদায়ের জন্য রাজ্য সরকারের একের পর এক বোর্ড গঠনে পায়ের তলার মাটি ক্রমশ সরছে। এ বার তা আটকাতে মরিয়া গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা নেতারা রাজ্যের উপর প্রশাসনিক এবং রাজনৈতিক চাপ বাড়ানোর ছক কষছেন। শুক্রবার প্রকাশ্য সভায় মোর্চা প্রধান বিমল গুরুঙ্গ জিটিএ চুক্তি পুড়িয়ে দিয়ে নতুন করে পৃথক গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে আন্দোলনের হুমকি দিয়েছেন। এ দিনই মোর্চার সহ সম্পাদক তথা জিটিএ সদস্য বিনয় তামাঙ্গ সুপ্রিম কোর্ট, হাইকোর্টে একাধিক মামলা দায়ের করার সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন। চুক্তি মতো জিটিএ-র কাজ পরিচালনা করতে রাজ্য সরকার বাধা দিচ্ছে অভিযোগ করে সুপ্রিম কোর্টে ইতিমধ্যেই মামলা রুজু করার আবেদন করেছে জিটিএ এবং মোর্চা। এ দিন তামাঙ্গ জানিয়েছেন, সেই আবেদনের প্রথম শুনানি হবে চলতি মাসের শেষে।

Advertisement

সম্প্রতি পাহাড়ে ভানুভক্তের জন্মদিন পালনের সরকারি অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতির উপস্থিতিতেই পাহাড়ের তিন সম্প্রদায়ের জন্য বোর্ড গঠনের ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরদিন রাষ্ট্রপতির উপস্থিতিতে অন্য একটি অনুষ্ঠানে তা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দেন গুরুঙ্গ। এ দিন গোর্খা রঙ্গমঞ্চে দলের অনুষ্ঠানে গুরুঙ্গ বলেন, ‘‘বিভিন্ন সম্প্রদায়ের জন্য বোর্ড গড়ে রাজ্য সরকার জিটিএ-র কাজে হস্তক্ষেপ করছে। কোনও কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না। তবে আর জিটিএ-র কার্যকরিতা কী থাকল। এ বার জিটিএ চুক্তি পুড়িয়ে দিয়ে পৃথক রাজ্যের দাবিতে আন্দোলন শুরুর সময় এসেছে।’’

তৃণমূলের পাহাড় কমিটির মুখপাত্র বিন্নি শর্মা-র পাল্টা দাবি, ‘‘মোর্চা যত উন্নয়নের বিরোধিতা করবে, ততই জনবিচ্ছিন্নতা বাড়বে।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement