গোর্খাল্যান্ড নিয়ে চাপ দিল্লিকে, মঞ্চে ঘোষণা গুরুঙ্গের

রাজ্যকে এড়িয়ে গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে দিল্লির ওপরে চাপ বাড়াবেন, সরকারি মঞ্চে দাঁড়িয়ে জানিয়ে দিলেন বিমল গুরুঙ্গ। দার্জিলিঙে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার ‘স্টাডি ফোরাম’ আয়োজিত ওই আলোচনা সভায় জিটিএ-এর প্রায় সব সদস্য উপস্থিত ছিলেন। গুরুঙ্গ বলেন, ‘‘গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের চুক্তি সই করে রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই গোর্খাল্যান্ডের নামে সম্মতি জানিয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

দার্জিলিং শেষ আপডেট: ১৫ এপ্রিল ২০১৫ ০৪:০৬
Share:

রাজ্যকে এড়িয়ে গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে দিল্লির ওপরে চাপ বাড়াবেন, সরকারি মঞ্চে দাঁড়িয়ে জানিয়ে দিলেন বিমল গুরুঙ্গ। দার্জিলিঙে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার ‘স্টাডি ফোরাম’ আয়োজিত ওই আলোচনা সভায় জিটিএ-এর প্রায় সব সদস্য উপস্থিত ছিলেন। গুরুঙ্গ বলেন, ‘‘গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের চুক্তি সই করে রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই গোর্খাল্যান্ডের নামে সম্মতি জানিয়েছে। এবার দিল্লির থেকে পৃথক রাজ্যের দাবি আদায় করতে চাপ বাড়ানো হবে। দিল্লিতে গিয়ে আমাদের দাবির পক্ষে যত বেশি সম্ভব সাংসদদের আনতে হবে।’’ তিনি বলেন, লাগাতার চেষ্টা করলে গোর্খাল্যান্ডের দাবি পূরণ হবেই।

Advertisement

২০১৩ সালে ২৯ জানুয়ারি সভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে গোর্খাল্যান্ডের হয়ে সওয়াল করেছিলেন গুরুঙ্গ। তখন অনুষ্ঠানের আয়োজক ছিল রাজ্য সরকার। তাই মোর্চার সমর্থকদের মুখে গোর্খাল্যান্ডের স্লোগান শুনে নিজেকে ‘রাফ-এন্ড টাফ’ বলে রাশ টেনেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এর পরে গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে পাহাড়ে লাগাতার বন্‌ধও করে মোর্চা। রাজ্য কঠোর পদক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। এরপর জিটিএ-র আওতাধীন কোনও মঞ্চ বা হলের অনুষ্ঠানে সরাসরি আলাদা রাজ্যের দাবি তোলেননি গুরুঙ্গ। গত বছরের লোকসভা ভোটের আগে থেকে গোর্খাল্যান্ডের দাবিকে ঘিরে পাহাড়ে আন্দোলনের পথে মোর্চা যায়নি। তাই এদিনের ঘোষণায় পাহাড়ের মোর্চা-বিরোধী নেতাদের ধারণা, ২০১৬ সালের বিধানসভা ভোটের কথা মাথায় রেখেই মোর্চা ফের গোর্খাল্যান্ডের দাবির স্লোগানকে সামনে আনছে।

সেই সঙ্গে সম্প্রতি জিএনএলএফ ফের আলাদা রাজ্যের দাবিতে সরব হয়েছে। তাতে পাহাড়ে জনভিত্তি আরও কমতে পারে আঁচ করে গুরুঙ্গ ফের গোর্খাল্যান্ডের স্লোগান তুলছেন।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন