ফাইল চিত্র।
এত দিন তাঁর সব কথায় একটাই সুর থাকত— আমিই সব! কিন্তু মঙ্গলবার উত্তরকন্যায় সর্বদল বৈঠকের শেষে সেই বিমল গুরুঙ্গ এক অডিও-বার্তায় বললেন, ‘‘বন্ধ আমি ডাকিনি। ডেকেছেন বিনয় (তামাঙ্গ)। ওঁকেই এখন দায়িত্ব নিতে হবে।’’ একই সঙ্গে তিনি জানিয়ে দিলেন, এ দিনের বৈঠকেও তিনি হতাশ। ত্রিপাক্ষিক বৈঠক ডাকা না হলে বন্ধ তোলা হবে না।
এ দিন তাঁর পছন্দের দুই বিধায়ক ছিলেন বৈঠকে। তবু কেন হতাশ বিমল গুরুঙ্গ? মোর্চা সূত্রে বলা হচ্ছে, যে ভাবে বিনয়-অনীত, হরকা-মন ঘিসিঙ্গরা পাশাপাশি বসে মুখ্যমন্ত্রীর নানা কথায় সহমত হয়েছেন, তাতে পাহাড়ে কর্তৃত্ব বজায় রাখা নিয়ে সংশয়ে গুরুঙ্গ। একে তো গ্রেফতারি পরোয়ানা ঝুলছে মাথার উপরে, তার পরে নানা সময়ে গুরুঙ্গের ভূমিকায় ‘ক্ষুব্ধ, অপমানিতরা’ জোট বাঁধলে পায়ের তলার মাটি হারাতে হবে, ভালই বুঝতে পারছেন তিনি।
জিএনএলএফের এক কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা জানান, গুরুঙ্গকে সামনে রেখে পাহাড়ের সব দলের সমবেত প্রতিরোধে এক সময়ে পাহাড়ে ফিরতে পারেননি সুবাস ঘিসিঙ্গ। এ বার বিনয়কে সামনে রেখে গুরুঙ্গ ও রোশন গিরির বিরুদ্ধে তেমন জনমত গড়ে উঠছে কি না, তাই নিয়েই শঙ্কিত গুরুঙ্গ শিবির। যা শুনে বিনয়ের মন্তব্য, ‘‘এক জন যা বলবে, তা-ই পাহাড়বাসীকে শুনতে হবে নাকি! দাবি আদায়ে কাদের সামনে রাখা নিরাপদ, সেটা পাহাড়বাসীই ঠিক করবেন।’’
দল সূত্রে খবর, এ দিন ভাল মোবাইল নেটওয়ার্ক ও টিভি সংযোগ সম্বলিত একটি রিসর্টে উঠেছিলেন গুরুঙ্গ। কিন্তু সবর্দলের পরে হতাশ হয়ে ঘণ্টাখানেক গুম হয়েছিলেন।