ভেড়ি দখল নিয়ে রণক্ষেত্র হাড়োয়া, গুলি-বোমায় আহত কমপক্ষে ১০

Advertisement
শেষ আপডেট: ১৭ অগস্ট ২০১৮ ০৪:৩৬
Share:

গোলমালে জখম। ছবি: নির্মল বসু।

মেছোভেড়ির দখলকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ বাধল হাড়োয়ার গোপালপুর ২ পঞ্চায়েত এলাকায়। গুলি-বোমায় আহত দু’পক্ষের ১০ জন। পুলিশ জানিয়েছে, চারজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় কলকাতার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় ছ’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এলাকায় র‌্যাফের টহল চলছে।

Advertisement

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি তৃণমূলের এক গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে মেছোভেড়ির কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ তোলে অন্য পক্ষ। সোমবার কলকাতায় ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বের উপস্থিতিতে বিষয়টি নিয়ে আলোচনার কথা ছিল। কিন্তু তা না হওয়ায় ওই দিন থেকেই এলাকায় বোমাবাজি শুরু হয়।

পুলিশ জানায়, গোপালপুর ২ পঞ্চায়েতের পুকুরিয়া, আমতা, খাটরা, গাম্বিলতলা, ভবানীপুর, জেলেপাড়া, নাটুয়ারআটি গ্রামে অশান্তি ছড়িয়ে পড়ে। তৃণমূলের এক পক্ষ পুকুরিয়া গ্রামের দলীয় কার্যালয় ভাঙচুর করে বলে অভিযোগ। মঙ্গলবার রাতে ফের দু’পক্ষের মধ্যে গন্ডগোল বাধে। গুলিও চলে। এলাকায় বেশ কিছু বাড়ি ভাঙচুর করা হয়। বোমা-গুলির মধ্যে পড়ে দিশেহারা হয়ে পড়েন সাধারণ মানুষ। তৃণমূলের এক গোষ্ঠীর দাবি, হামলাকারীরা শাসক দলের নয়। তারা পিডিসিআই করে।

Advertisement

গোপালপুর ২ তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি বাকবুল কালাম মুন্সি জানান, এটি কোনও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নয়। আসলে পিডিসিআই এবং সিপিএমের বহিরাগতরা নিজেদের তৃণমূল বলে দাবি করে মেছোভেড়ি লুট করতে এসেছিল। হাড়োয়ার তৃণমূল বিধায়ক নুরুর ইসলামেরও দাবি, হামলাকারীরা কেউ তৃণমূলের নয়। গোপালপুর ২ তৃণমূলের প্রাক্তন সভাপতি সাহেব আলি মণ্ডল বলেন, ‘‘জন্মলগ্ন থেকে তৃণমূলে। তৃণমূলের উপপ্রধান, অঞ্চল সভাপতি ছিলাম। আমার সময়ে মেছোভেড়ি-সহ বিভিন্ন খাতের টাকা গরিব মানুষকে দেওয়া হত। এখন সেই টাকা আর গরিবরা পাচ্ছেন না।’’ তাঁর দাবি, ‘‘আমাদের মতো পুরনোদের দলে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না। পঞ্চায়েতে টিকিটও দেওয়া হয়নি। ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বকে জানানো হয়েছে।’’

তাঁর দাবি, ‘পিডিসিআই’ বলে চিহ্নিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে তাঁদের। তৃণমূলের বর্তমান অঞ্চল সভাপতির উপরে হামলার দায় চাপিয়ে তাঁকে সরানোর দাবি তুলেছেন সাহেব। বসিরহাটের সাংসদ ইদ্রিশ আলি বলেন, ‘‘শুনছি দলের ছেলেদের মারধর করে তাদেরই পরে গ্রেফতার করা হয়েছে। কেন এমন হল, তা দেখা হচ্ছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন