রেফার রোগের দাওয়াই অধরা স্বাস্থ্য বৈঠকেও

রেফারের ব্যাপারে মেডিক্যাল কলেজগুলির বিভিন্ন খুঁত খুঁজে বার করা এবং কিছু প্রস্তাবের মধ্যেই বৈঠক সীমাবদ্ধ থেকেছে।

Advertisement

পারিজাত বন্দ্যোপাধ্যায়

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৭ জানুয়ারি ২০১৮ ০২:৩৫
Share:

চিকিৎসা না করে গুরুতর অসুস্থ রোগীকে রেফার করে দেওয়ার প্রবণতা আটকানোর সমাধানসূত্র খুঁজতে জরুরি বৈঠক ডেকেছিল স্বাস্থ্যভবন। কিন্তু বৃহস্পতিবার ‘মাল্টি ডিসিপ্লিনারি এক্সপার্ট গ্রুপ’, বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ, সুপারদের সঙ্গে স্বাস্থ্যকর্তাদের সেই বৈঠকে শেষ পর্যন্ত কোনও সমাধান সূত্রই বেরলো না। রেফারের ব্যাপারে মেডিক্যাল কলেজগুলির বিভিন্ন খুঁত খুঁজে বার করা এবং কিছু প্রস্তাবের মধ্যেই বৈঠক সীমাবদ্ধ থেকেছে।

Advertisement

স্বাস্থ্যভবন সূত্রের খবর, স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী তথা এক্সপার্ট গ্রুপের চেয়ারপার্সন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বৈঠকে অধ্যক্ষ ও সুপারদের জানিয়ে দেন, রেফারের উপযুক্ত কারণ থাকতে হবে। রেফার করা হলে স্বাস্থ্য ভবনের কন্ট্রোল রুমে তা জানাতে হবে। কথা বলতে হবে রেফারাল হাসপাতালের সঙ্গে। সেই সঙ্গে রোগীর সব তথ্যও কম্পিউটারে তুলে রাখতে হবে। বেশ কিছু মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ও সুপারেরা জানান, এমনিতেই লোকাভাব, তার মধ্যে রেফারের জন্য এত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা কার্যত অসম্ভব। এর জন্য আলাদা লোক দেওয়া দরকার। তাঁদের জানানো হয়েছে, রেফারের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার দায়িত্ব বিভাগীয় প্রধানদের নিতে হবে। সেই সঙ্গে যে সিনিয়ার রেসিডেন্ট যে দিন ইমার্জেন্সি ডিউটিতে থাকবেন, দায়িত্ব নিতে হবে তাঁকেও।

আলোচনায় উঠে এসেছে, অনেক সময় রেফারের আগে জুনিয়র ডাক্তাররা ভিজিটিং ডাক্তারদের সঙ্গে আলোচনা করেন না। অনেক সময় আবার প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো বা শয্যা খালি থাকলেও সে সব না-থাকার অজুহাত দেখিয়ে জুনিয়র চিকিৎসকদের একাংশ রোগী ফিরিয়ে দেন। বৈঠকে প্রস্তাব উঠেছে, ইমার্জেন্সিতে ডিউটিরত চিকিৎসকদের সঙ্গে ভিজিটিং ডাক্তার বা বিভাগীয় প্রধানদের নিরন্তর যোগাযোগ স্থাপন করতে হবে। ইমার্জেন্সিতে এমন কিছু অতিরিক্ত শয্যার ব্যবস্থা রাখতে হবে যেখানে গুরুতর রোগীকে অন্তত কিছুক্ষণের জন্য রেখে প্রয়োজনীয় সব রকম চিকিৎসা দেওয়া যায়।

Advertisement

এক্সপার্ট গ্রুপের ভিতর থেকে এ দিন অভিযোগ উঠেছে, জেলার বা গ্রামের অনেক হাসপাতালে চিকিৎসকেরা নিয়মিত থাকছেন না। সপ্তাহের মধ্যে দিন ভাগ করে তাঁরা হাসপাতালে যান। ফলে জেলা থেকে রোগী রেফার করতে হয়। এটা রুখতে অর্থ দফতরের সঙ্গে চিকিৎসকদের বায়োমেট্রিক হাজিরাকে যুক্ত করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এক স্বাস্থ্যকর্তা বলেন, ‘‘যদি বেতন কাটা যায়, একমাত্র তবেই একশ্রেণির চিকিৎসকের নিয়মিত গরহাজির থাকার অভ্যাস দূর হবে।’’

প্রস্তাবটি নবান্নতে পাঠানো হবে বলে জানানো হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
আরও পড়ুন