ওষুধ-সঙ্কটে কেন্দ্রের বঞ্চনার অভিযোগ

ওষুধ সরবরাহকারীদের কোটি কোটি টাকা বকেয়া মেটাতে নাজেহাল হচ্ছেন সরকারি হাসপাতালের কর্তারা।

Advertisement

সৌরভ দত্ত

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৪ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৪:৫৭
Share:

ফাইল চিত্র।

কলকাতার সব মেডিক্যাল কলেজ-সহ জেলার হাসপাতালে ওষুধ না-পেয়ে রোগীরা সমস্যায় পড়ছেন বলে স্বীকার করে নিচ্ছে স্বাস্থ্য ভবন। ওষুধ সরবরাহে এই ঘাটতির পিছনে কেন্দ্রের বঞ্চনা দেখছেন স্বাস্থ্যকর্তাদের একাংশ। তাঁদের অভিযোগ, জাতীয় স্বাস্থ্য মিশন (এনএইচএম) থেকে প্রতি বছর বিনামূল্যের ওষুধের জন্য টাকা পাওয়া যায়। কিন্তু এ বছর তা না-পাওয়ায় সমস্যা হয়েছে। সঙ্কট মেটাতে রাজ্যের অর্থ দফতর ৫০ কোটি টাকা মঞ্জুর করেছে।

Advertisement

ওষুধ সরবরাহকারীদের কোটি কোটি টাকা বকেয়া মেটাতে নাজেহাল হচ্ছেন সরকারি হাসপাতালের কর্তারা। কখনও ন্যায্য মূল্যের ওষুধের দোকান থেকে ওষুধ কিনে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া হচ্ছে। আবার কখনও সরবরাহকারীদের অনুরোধ-উপরোধ করে কাজ চালাচ্ছেন আধিকারিকেরা।

স্বাস্থ্য দফতরের খবর, বিনামূল্যে ওষুধ প্রকল্পের বেশির ভাগ অর্থই রাজ্য দেয়। সেই টাকা আসে পরিকল্পনা খাত থেকে। জাতীয় স্বাস্থ্য মিশন থেকে ওষুধের জন্য বরাদ্দ টাকা এ বার না-পাওয়ায় সমস্যা হচ্ছে। পরিস্থিতি সামলাতে রাজ্য পরিকল্পনা-বহির্ভূত খাতে টাকা দিতে বাধ্য হচ্ছে।

Advertisement

আধিকারিকদের একাংশের বক্তব্য, কেন্দ্রের অর্থ পাওয়ার জন্য রাজ্যের যে-‘ম্যাচিং গ্রান্ট’ দেওয়ার কথা, তা না-দেওয়ায় সমস্যা হয়েছে। কিছু কর্তা এটাকে কেন্দ্র-রাজ্য বিরোধ হিসেবেই দেখছেন। বিজেপি সাংসদ সুভাষ সরকার বলেন, ‘‘রাজ্য কি গত বছরের সদ্ব্যবহার শংসাপত্র দিয়েছে? রাজ্যের সব প্রকল্পে কেন্দ্রীয় বরাদ্দ বেড়েছে। স্বাস্থ্য দফতর নিজেদের গাফিলতি ঢাকতে এমন কথা বলছে।’’ স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী বলেন, ‘‘আপৎকালীন ব্যবস্থা হিসেবে সকলকে কিছু কিছু টাকা দেওয়া হচ্ছে। স্বাস্থ্য মিশনের টাকা কেন আসছে না, বলতে পারব না। মাঝেমধ্যেই টাকা আটকে যায়। ফের ঠিকও হয়ে যায়।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন