মুকুল মামলার শুনানি কাল

বছরখানেক আগে এক রেলকর্মীর কাছ থেকে হিসেব-বহির্ভূত ৮০ লক্ষ টাকা উদ্ধার করা হয়েছিল। সেই মামলার তদন্তে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মুকুলকে ডেকেছিলেন তদন্তকারীরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ৩১ জুলাই ২০১৯ ০৩:৪৬
Share:

প্রতারণা মামলায় গ্রেফতারি এড়াতে আজ দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়। রাজ্যের আইনজীবী সিদ্ধার্থ লুথরার আবেদনে আগামী ১ অগস্ট পর্যন্ত ওই মামলার শুনানি পিছিয়ে দিল আদালত। মুকুলের আইনজীবীদের দাবি, এর ফলে দিল্লি হাইকোর্টে শুনানি না হওয়া পর্যন্ত মুকুলকে গ্রেফতার করতে পারবে না কলকাতা পুলিশ।

Advertisement

বছরখানেক আগে এক রেলকর্মীর কাছ থেকে হিসেব-বহির্ভূত ৮০ লক্ষ টাকা উদ্ধার করা হয়েছিল। সেই মামলার তদন্তে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মুকুলকে ডেকেছিলেন তদন্তকারীরা। কলকাতা পুলিশের বক্তব্য, মুকুলবাবু না আসায় গত জানুয়ারিতে তাঁকে ডেকে পাঠানোর জন্য আদালতে আর্জি জানান তদন্তকারী অফিসার। আদালত তিন বার ডেকে পাঠায় মুকুলকে। সোমবারেও তিনি হাজির না হওয়ায় মুকুলের নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে ব্যাঙ্কশাল আদালত।

আজ সেই গ্রেফতারি পরোয়ানায় স্থগিতাদেশ চেয়ে দিল্লি হাইকোর্টে আবেদন করেছিল মুকুল-শিবির। তাঁর আইনজীবী কবীরশঙ্কর বসুর কথায়, ‘‘রাজের আইনজীবী সিদ্ধার্থ লুথরা আদালতকে জানান গতকাল গভীর রাতে ওই মামলাটির বিষয়ে তিনি জানতে পারেন। তাই পুরো বিষয়টি পড়ে উঠতে পারেননি তিনি। সে কারণে মামলাটি পিছিয়ে দেওয়ার জন্য আবেদন করেন তিনি।’’ সেই আবেদন মেনে নিয়ে বিচারপতি প্রথমে বুধবার মামলাটির পরবর্তী শুনানি হবে বলে ঘোষণা করেন। কিন্তু সিদ্ধার্থের সে দিন সুপ্রিম কোর্টে অন্য একটি মামলা থাকায় আরও এক দিন পিছিয়ে দেওয়ার অনুরোধ করেন তিনি। তাতে আপত্তি জানান মুকুলের আইনজীবীরা। কবীরশঙ্কর বলেন, ‘‘মুকুল রায়ের নামে যেহেতু গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছে, তাই দ্রুত শুনানির জন্য আবেদন করা হয়। কিন্তু লুথরা আশ্বাস দিয়ে বলেন যে তিনি যখন সময় চাইছেন, এ নিয়ে চিন্তার কিছু নেই। তারপরেই দু’পক্ষের সম্মতিতে ১ অগস্ট শুনানির দিন ধার্য হয়। আমি আশা করব, ওই সময়সীমার মধ্যে মুকুল রায়কে গ্রেফতারির মতো কোনও অবিবেচক কাজ করবে না কলকাতা পুলিশ।’’

Advertisement

সব অভিযোগ উড়িয়ে মুকুল বলেন, ‘‘কলকাতা পুলিশ দিল্লিতে এসে আমায় জিজ্ঞাসাবাদ করতে ইচ্ছুক এবং আমিও তাদের সাহায্য করতে রাজি—ওই তথ্য ব্যাঙ্কশাল আদলতকে জানানো হয়নি। আমার বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ নেই। সাক্ষী হিসেবে ডাকা হয়েছে। আইন বলে, সাক্ষী হিসেবে কাউকে বয়ান দেওয়ার জন্য জোর করা যায় না বা গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা যায় না। রাজনৈতিক ভাবে হেরে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখন আমার চরিত্রহননে নেমেছেন।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন