West Bengal DGP Rajeev Kumar

রাজীব কুমার মামলা: সুপ্রিম কোর্টের প্রশ্নের মুখে সিবিআই, ডিজির আইনজীবী বললেন, সম্মানহানির চেষ্টা করা হচ্ছে!

রাজীব কুমারের আগাম জামিন দিয়েছিল কলকাতা হাই কোর্ট। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতে মামলা করেছিল সিবিআই। সোমবার সেই মামলা উঠল প্রধান বিচারপতি গবইয়ের বেঞ্চে।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৩ অক্টোবর ২০২৫ ১১:০৬
Share:

পশ্চিমবঙ্গের ডিজিপি রাজীব কুমার। — ফাইল চিত্র।

না-জানলেই নয়
শেষ আপডেট: ১৩ অক্টোবর ২০২৫ ১১:১৮ key status

আগামী শুক্রবার শুনানি

আগামী শুক্রবার আদালত অবমাননার মামলার শুনানি হবে।

শেষ আপডেট: ১৩ অক্টোবর ২০২৫ ১১:১৭ key status

রাজীবের দাবি!

রাজীবের আইনজীবী সওয়াল করে জানান, সম্মানহানি করতেই অভিযোগ করা হচ্ছে।

Advertisement
শেষ আপডেট: ১৩ অক্টোবর ২০২৫ ১১:১৭ key status

‘গুরুতর বিষয়’

তুষার বলেন, ‘‘আমাকে বিশ্বাস করুন, এই মামলায় গুরুতর বিষয় রয়েছে।’’

শেষ আপডেট: ১৩ অক্টোবর ২০২৫ ১১:১৬ key status

প্রধান বিচারপতির প্রশ্ন

প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘‘কেন গত ছ’বছরে তদন্তের প্রয়োজনে ডাকেননি। কী করেছেন এত দিন?’’

Advertising
Advertising
শেষ আপডেট: ১৩ অক্টোবর ২০২৫ ১১:১৫ key status

অবাক!

তুষার বলেন, ‘‘পুরো বিষয়টি শুনলে ধর্মাবতার আপনি অবাক হবেন। কেন ছ’বছর ধরে ঝুলে রয়েছে।’’

শেষ আপডেট: ১৩ অক্টোবর ২০২৫ ১১:১৩ key status

‘মামলা রাখার প্রয়োজনীয়তা কী’?

সিবিআইয়ের উদ্দেশে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘‘গত ছ’বছর ধরে আপনারা কী করেছেন? এত দিন ধরে মামলা বিচারাধীন রাখব? মামলা রাখার কী প্রয়োজনীয়তা রয়েছে? মঙ্গলবার অবমাননার শুনানি হোক। অথবা, আমরা মামলা খারিজ করে দিচ্ছি।’’

শেষ আপডেট: ১৩ অক্টোবর ২০২৫ ১১:১২ key status

‘সহযোগিতা করা হয়েছে’!

রাজীবের আইনজীবী বলেন, ‘‘গত ছ’বছরে একবারও তলব করা হয়নি। তদন্তে সব রকম সহযোগিতা করা হয়েছে। শুধুমাত্র হয়রানি করতেই এই মামলা করা হয়েছে।’’

শেষ আপডেট: ১৩ অক্টোবর ২০২৫ ১১:১১ key status

‘শুধু জামিনে আটকে নেই’!

তুষার বলেন, ‘‘আমাদের বিষয়টি শোনা হোক। শুধু জামিনে আটকে নেই বিষয়টি। এই মামলায় সরকার হল আসল প্রতিদ্বন্দ্বী।’’

শেষ আপডেট: ১৩ অক্টোবর ২০২৫ ১১:১০ key status

প্রধান বিচারপতির প্রশ্ন

প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘‘আমরা নোটিস ইস্যু করেছিলাম। কিন্তু ছ’বছর ধরে কী করেছেন?’’

শেষ আপডেট: ১৩ অক্টোবর ২০২৫ ১১:০৯ key status

তদন্তে বাধা!

সিবিআইয়ের আইনজীবী তুষার বলেন, ‘‘শুধুমাত্র আগাম জামিনের বিষয় নয়, তদন্তে বাধা দেওয়া হয়েছে। এত দিন পরে আগাম জামিন নিয়ে কিছু বলছি না। কিন্তু সিবিআই অফিসারদের বাধা দেওয়া হয়েছে। এর সঙ্গে আদালত অবমাননার বিষয়টি শুনানি হোক।’’

শেষ আপডেট: ১৩ অক্টোবর ২০২৫ ১১:০৬ key status

এত দিন পরে!

শুনানি শুরু হল। সিবিআইয়ের হয়ে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা সওয়াল করছেন। প্রধান বিচারপতি: ‘‘কেন ছ’বছর পরে এলেন?’’

শেষ আপডেট: ১৩ অক্টোবর ২০২৫ ১১:০৪ key status

চিটফান্ড মামলা!

সারদা চিটফান্ড মামলায় প্রথম তদন্ত শুরু করে রাজ্য সরকারের গঠিত বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট)। সেই সিটের অন্যতম সদস্য ছিলেন বিধাননগরের তৎকালীন পুলিশ কমিশনার রাজীব। ২০১৪ সালে সুপ্রিম কোর্ট এই মামলার তদন্তভার পুলিশের কাছ থেকে নিয়ে সিবিআইকে দেয়। তদন্তে নেমে সিবিআই অভিযোগ করে, রাজীব তদন্তে সহযোগিতা করছেন না। অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য এবং নথি ইচ্ছাকৃত ভাবে বিকৃত করেছেন। যাতে প্রমাণ নষ্ট হয়ে যায়। যদিও ওই সব অভিযোগ নস্যাৎ করেন রাজীব। আদালতে তিনি জানান, সিবিআই তদন্তে তিনি পূর্ণ সহযোগিতা করেছেন। মেঘালয়ের শিলংয়ে পাঁচ দিন ধরে (মোট ৪০ ঘণ্টা) কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার জিজ্ঞাসাবাদে অংশ নেন। এবং পরে কলকাতায়ও সিবিআইয়ের দফতরে হাজিরা দিয়েছিলেন। যদিও কলকাতার প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার রাজীবকে হেফাজতে চেয়ে পদক্ষেপ শুরু করে সিবিআই।

২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে সুপ্রিম কোর্ট রাজীবকে অন্তর্বর্তী রক্ষাকবচ দেয়। পরে ওই বছর মে মাসে সেই রক্ষাকবচ প্রত্যাহার করে আদালত। তবে শীর্ষ আদালত জানায়, রাজীব চাইলে আগাম জামিনের আবেদন করতে পারেন। সেই মতো তিনি আগাম জামিন চেয়ে হাই কোর্টে মামলা করেন। জামিনের বিরোধিতা করে সিবিআইয়ের যুক্তি, সহযোগিতা না করে রাজীব ইচ্ছাকৃত ভাবে তদন্তে দেরি করছেন। তিনি প্রভাবশালী ব্যক্তি। তাঁর জামিন হলে তদন্ত বাধাগ্রস্ত হতে পারে। তাঁকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ প্রয়োজন। রাজীবের পক্ষ থেকে পাল্টা যুক্তি দেওয়া হয়, তিনি বার বার তদন্তে সহযোগিতা করেছেন। হেফাজতে নেওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই। আইন অনুযায়ী তাঁর ব্যক্তিগত স্বাধীনতার অধিকার রক্ষা করা উচিত। হাই কোর্টের তৎকালীন বিচারপতি শহিদুল্লাহ মুন্সি এবং বিচারপতি শুভাশিস দাশগুপ্তের ডিভিশন বেঞ্চ রাজীবের আগাম জামিনের আবেদন মঞ্জুর করে। হাই কোর্টের ওই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যায় সিবিআই। সোমবার তার শুনানি হল প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে।

শেষ আপডেট: ১৩ অক্টোবর ২০২৫ ১১:০৪ key status

দীর্ঘ দিন পরে

২০১৯ সালের ১ অক্টোবর রাজীবের আগাম জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেছিল হাই কোর্ট। তিন দিনের মধ্যে ওই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যায় সিবিআই। কোর্টের তথ্য বলছে, ওই বছর ৪ অক্টোবর হাই কোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতে মামলা করেছিল সিবিআই। ২০১৯ সালের ২৫ এবং ২৯ নভেম্বর মামলাটি শোনে আদালত। দ্বিতীয় শুনানির দিন রাজীবকে নোটিস জারি করে সুপ্রিম কোর্ট। সে বছর ২০ ডিসেম্বর শীর্ষ আদালতের নোটিস পান রাজীব। এর পরে এই মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে কয়েকটি আবেদন জমা পড়ে আদালতে। যদিও শুনানির কোনও অগ্রগতি দেখা যায়নি। অর্থাৎ, এত বছরে সুপ্রিম কোর্টে মাত্র দু’বার মামলাটি শুনানির জন্য উঠেছে।

শেষ আপডেট: ১৩ অক্টোবর ২০২৫ ১১:০৪ key status

সিবিআইয়ের মামলা

রাজীবের আগাম জামিনের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতে মামলা করেছিল সিবিআই। সোমবার সেই মামলা উঠল প্রধান বিচারপতি গবইয়ের বেঞ্চে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on:
আরও পড়ুন
Advertisement