কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে আনা হয়েছিল বিশাল মালা (উপরে)। কলাইকুণ্ডায় স্মৃতি। নিজস্ব চিত্র
অমিত শাহের পরিবর্তে এলেন স্মৃতি ইরানি। তবু পিছু ছাড়ল না হেলিপ্যাড বিতর্ক।
বুধবার ঝাড়গ্রামের গড় শালবনির সভায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি-সহ বিজেপি নেতারা একযোগে অভিযোগ করলেন, নির্ধারিত সময়ে হেলিপ্যাডের অনুমতি দেয়নি প্রশাসন। ফলে হেলিকপ্টারে কলাইকুণ্ডায় নেমে সড়কপথে সভাস্থলে পৌঁছেছেন স্মৃতি। যদিও প্রশাসনের দাবি, হেলিকপ্টার অবতরণের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। জেলাশাসক আয়েষা রানি অবশ্য জানিয়েছেন, ‘‘মাঠে সভা করা ও কপ্টার নামার আবেদন পেয়ে প্রয়োজনীয় পদ্ধতি মেনে অনুমতি দেওয়া হয়েছে।’’ সভায় বিজেপি-র রাজ্য সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু অভিযোগ করেন, সকাল সাড়ে এগারোটা পর্যন্ত কপ্টার নামার অনুমতি দেননি জেলাশাসক। তিনি জানান, জেলা প্রশাসন অনুমতি দেয়নি বলেই কলাইকুণ্ডায় বায়ু সেনার বিমান ঘাঁটিতে কপ্টারে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও নেতৃত্ব অবতরণ করবেন। সায়ন্তনের ব্যাখ্যা, যে সময়ে অনুমতি মিলেছে, তখন আর রুট পরিবর্তন সম্ভব ছিল না।
বিজেপি সভাপতি অমিত শাহের সভার জন্য শিরষির একটি ক্লাবের মাঠে হেলিকপ্টার অবতরণের জন্য জেলা প্রশাসনের কাছে অনুমতি চেয়েছিল বিজেপি। মঙ্গলবারই মালদহের সভা সেরে অসুস্থ অমিত উড়ে গিয়েছিলেন দিল্লিতে। দলীয় স্তরে ঠিক হয় অমিতের পরিবর্তে সভায় আসবেন স্মৃতি। কিন্তু মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত অনুমতি সংক্রান্ত বিতর্ক কাটেনি। মঙ্গলবার রাতে এ ব্যাপারে কথা বলতে জেলা শাসকের কার্যালয়ে গিয়েছিলেন লকেট চট্টোপাধ্যায়। পরে তিনি অভিযোগ করেন, তাঁর সঙ্গে নাকি কথা বলতে রাজি হননি জেলাশাসক। এ বিষয়ে অবশ্য জেলাশাসক কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি।
এ দিন সভায় পৌঁছেই কপ্টার অনুমতি বিতর্কে সুর চড়ান স্মৃতি। বলেন, ‘‘দিদির কথায় প্রশাসন কপ্টার নামার অনুমতি দেয়নি। প্রশাসনকে জানাতে চাই, ইয়ে পাবলিক হ্যায়। যখন জনগণ তাঁদের কর্তব্য নিশ্চিত করে নেন, তখন কেউ তাঁদের আটকাতে পারে না। প্রশাসনের প্রতি আমার বার্তা।’’ স্মৃতির সঙ্গেই কলাইকুণ্ডা থেকে থেকে গড় শালবনি এসেছিলেন রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়। পুলিশ ও প্রশাসনের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘‘জনগণের টাকায় আপনাদের বেতন হয়। মমতাজির বাড়ি থেকে হয় না। আপনারা জনগণের জন্য চাকরি করেন। আমরাও লাল ডায়েরি তৈরি করে রাখছি। আমাদের সরকার ক্ষমতায় এলে, এই সব আধিকারিকদের দেখে নেওয়া হবে।’’
কথা ছিল ঝাড়গ্রাম থেকে সিউড়িতে সভা করতে যাবেন স্মৃতি। কিন্তু শেষপর্যন্ত সে সভায় যেতে পারেননি স্মৃতি। সিউড়ির সভায় বিজেপি নেতা রাহুল সিংহ বলেন, ‘‘ঝাড়গ্রামের সভাস্থল থেকে এত দূরে হেলিপ্যাড হওয়ায় স্মৃতি ইরানি, কৈলাস বিজয়বর্গীয় সিউড়িতে আসতে পারলেন না।’’ প্রশাসনের দাবি, মন্ত্রীর সফরের জন্য সব ব্যবস্থাই ছিল।