গত পাঁচ বছরে তাঁদের সম্পত্তিবৃদ্ধি নিয়ে হলফনামা দাখিল করার জন্য রাজ্যের ১৯ মন্ত্রী ও বিধায়ককে নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি নিশীথা মাত্রের ডিভিশন বেঞ্চ। ওই মন্ত্রী-বিধায়কদের সম্পত্তির পরিমাণ কী করে পাঁচ বছরে বিপুল বাড়ল, সেই প্রশ্ন তুলে কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের করা একটি জনস্বার্থ মামলার আবেদনে বলা হয়েছে, এ ব্যাপারে নিরপেক্ষ কোনও সংস্থাকে দিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিক আদালত। শুক্রবার সেই মামলার শুনানিতে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ ওই নির্দেশ দেয়।
এ দিন মন্ত্রী ও বিধায়কদের পক্ষের আইনজীবীরা আদালতে যুক্তি দেন, এ নিয়ে কোনও জনস্বার্থ মামলা হতে পারে না। তাই এই মামলা আদালতের গ্রহণ করাই উচিত নয়। ওই আইনজীবীদের আরও দাবি, এই ধরনের অভিযোগ সংক্রান্ত মামলা শোনার এক্তিয়ার হাইকোর্টের নেই।
জনস্বার্থ মামলার আবেদনকারীদের আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য আদালতে জানান, ২০১১ সালে রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনের আগে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় ওই মন্ত্রী ও বিধায়কেরা তাঁদের সম্পত্তির একটি ফিরিস্তি দিয়েছিলেন। ২০১৬ সালে রাজ্য বিধাসভা নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে নেমে তাঁরা নিজেদের সম্পত্তির যে হিসেব দিলেন, তা আগের চেয়ে বহু গুণ বেশি।
মামলার আবেদনে জানতে চাওয়া হয়েছে, মাত্র পাঁচ বছরে সম্পত্তি এত বাড়ল কী করে? জনপ্রতিনিধিদের কাছে এই প্রশ্নের উত্তর চাওয়ার অধিকার রয়েছে নাগরিকদের। কারণ ওই নাগরিকেরাই ভোটদাতা।
দু’পক্ষের সওয়াল শুনে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দেয়, মন্ত্রী ও বিধায়কেরা চার সপ্তাহের মধ্যে তাঁদের হলফনামা দাখিল করবেন। হলফনামার প্রত্যয়িত কপি পেয়ে মামলার আবেদনকারীরাও তাঁদের পাল্টা বক্তব্য জানাবেন দু’সপ্তাহের মধ্যে। ছয় সপ্তাহ পরে ওই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।ো