‘এ রাজ্যের পুলিশ ৪৬ বছর বয়সেই কি প্রবীণ নাগরিক?’

ভুঁড়ির ভারেই কি ভূলুণ্ঠিত হচ্ছে পুলিশের সম্মান? চোর ধরতে গিয়ে স্থূল দেহই কি হয়ে দাঁড়াচ্ছে প্রধান বাধা? আদালতে এ সব প্রশ্ন আগেও একাধিক বার উঠেছে। ফের পুলিশের শারীরিক সক্ষমতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করল কলকাতা হাইকোর্ট।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৫ মার্চ ২০১৭ ০১:৪৪
Share:

অঙ্কন: কুণাল বর্মণ

ভুঁড়ির ভারেই কি ভূলুণ্ঠিত হচ্ছে পুলিশের সম্মান? চোর ধরতে গিয়ে স্থূল দেহই কি হয়ে দাঁড়াচ্ছে প্রধান বাধা? আদালতে এ সব প্রশ্ন আগেও একাধিক বার উঠেছে। ফের পুলিশের শারীরিক সক্ষমতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করল কলকাতা হাইকোর্ট।

Advertisement

পুলিশকর্মীদের শারীরিক উচ্চতার সঙ্গে দেহের ওজনের ভারসাম্য ঠিক রয়েছে কি না, রাজ্য স্বরাষ্ট্র সচিবের কাছে সেই প্রশ্নের জবাব চাইলেন কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি নিশীথা মাত্রে। স্বরাষ্ট্র সচিব ও রাজ্য পুলিশের ডিরেক্টর জেনারেলকে (ডিজি) হলফনামা দিয়ে তার উত্তর দিতে হবে। হলফনামায় এ-ও জানাতে হবে, সেই ভারসাম্য (বডি-মাস ইনডেক্স বা বিএমআই) ঠিক রয়েছে কি না, তার পরীক্ষা কত দিন অন্তর করানো হয়।

কর্মরত পুলিশকর্মীদের শারীরিক সক্ষমতা এবং মানসিক সতর্কতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে কয়েক মাস আগে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছেন বেহালার বাসিন্দা কমল দে। ভারী ওজনের পুলিশকর্মীরা চোর ধরতে দড় কি না, সেই প্রশ্ন আগেই তুলেছে বিচারপতি মাত্রের ডিভিশন বেঞ্চ। এর আগে ডিভিশন বেঞ্চ স্বরাষ্ট্র সচিব, ডিজি ও কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে হলফনামা দিয়ে জানাতে বলেছিল, শারীরিক সক্ষমতা ও মানসিক সতর্কতা ঠিক রাখার জন্য কী কী ব্যবস্থা রয়েছে?

Advertisement

শুক্রবার সেই মামলার শুনানিতে বিচারপতি মাত্রে সরকারি কৌঁসুলি তপন মুখোপাধ্যায়ের কাছে জানতে চান, হলফনামার কী হল? তপনবাবু জানান, কলকাতার পুলিশ কমিশনার হলফনামা দিয়েছেন। কিন্তু রাজ্যের বাকি জেলা থেকে রিপোর্ট এখনও আসেনি। তাই স্বরাষ্ট্র সচিব ও ডিজি-কে আরও কিছু দিন সময় দেওয়া হোক। বিচারপতি মাত্রে তা জেনে বলেন, ‘‘বিষয়টি কিন্তু খুব গুরুত্বপূর্ণ। দেশ তথা রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পুলিশকেই রক্ষা করতে হয়। তাই পুলিশের শারীরিক সক্ষমতা হেলাফেলার বিষয় নয়। তাঁদের সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্নই উঠবে না।’’

আরও পড়ুন: গুলিবৃষ্টিতে ভোর হল ট্যাংরায়

বিচারপতি মাত্রে জানিয়ে দেন, বছরে এক বার পরীক্ষা করালেই চলবে না। দেখতে হবে শরীরের উচ্চতার সঙ্গে দেহের ওজনের যে ভারসাম্য থাকা দরকার, তার পরীক্ষা নিয়মিত হয় কি না। হয়ে থাকলে তা কত দিন অন্তর হয়।

বিচারপতি মাত্রে এ দিন নির্দেশ দিয়েছেন, স্বরাষ্ট্র সচিব ও ডিজি-কে দু’সপ্তাহের মধ্যে হলফনামা দিয়ে বিস্তারিত জানাতে হবে।

চিকিৎসকদের মতে, ভুঁড়ি কোনও কোনও ক্ষেত্রে জিনঘটিত কারণে হলেও পরিশ্রমবিমুখতা ও শারীরচর্চার অভাবেও ভুঁড়ি বাড়ে। খাবারে কার্বোহাইড্রেটের আধিক্যও ওজন বাড়িয়ে দেয়। এর ফলে হার্টের সমস্যা, পিঠ-কোমরে ব্যথা, হাঁটুর সমস্যা, কাজে অনীহা, মানসিক অবসাদ দেখা দেয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন