বন্দি-মুক্তিতে দেরি কেন, প্রশ্ন কোর্টের

প্রশ্ন তুলল কলকাতা হাইকোর্ট। সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন দণ্ডিতদের মুক্তির বিষয়ে কী পদক্ষেপ করা হয়েছে, সেই বিষয়ে তিন সপ্তাহের মধ্যে রাজ্য সরকারকে হলফনামা পেশ করার জন্য সোমবার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি দেবাংশু বসাক।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০১ অগস্ট ২০১৭ ০৪:১২
Share:

কলকাতা হাইকোর্ট

লৌহকপাটের আড়ালে দেড় যুগ কেটে গিয়েছে তাঁর। তাঁর মুক্তির সুপারিশের বয়সও অর্ধযুগ। কিন্তু আক্রম খান নামে সেই বন্দির মুক্তির ব্যবস্থা হয়নি। কী করছে রাজ্য সরকার?

Advertisement

প্রশ্ন তুলল কলকাতা হাইকোর্ট। সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন দণ্ডিতদের মুক্তির বিষয়ে কী পদক্ষেপ করা হয়েছে, সেই বিষয়ে তিন সপ্তাহের মধ্যে রাজ্য সরকারকে হলফনামা পেশ করার জন্য সোমবার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি দেবাংশু বসাক।

আক্রমের আইনজীবী অয়ন চক্রবর্তী জানান, অপহরণের মামলায় তাঁর মক্কেলের যাবজ্জীবন সাজা হয়। তিনি প্রেসিডেন্সি জেলে ছিলেন। পরে তাঁকে পাঠানো হয় দমদম জেলে। প্রেসিডেন্সি জেলে থাকাকালীনই সেখানকার সুপার কারা দফতরের ডিজি-র কাছে সুপারিশ করেন, যাবজ্জীবনের প্রথম ১৪ বছর কাটিয়ে দিয়েছেন আক্রম। জেলে তাঁর আচরণ সন্তোষজনক। সাজা কমিয়ে তাঁকে মুক্তি দেওয়া হোক। ২০১১ সালেই জেল সুপার ওই সুপারিশ করেন। তার পরে ছ’বছর কেটে গিয়েছে। সুপারিশ রূপায়ণে সরকার ব্যবস্থা না-নেওয়ায় হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন ওই বন্দি। ইতিমধ্যে তাঁর ১৮ বছর জেল খাটা হয়ে গিয়েছে।

Advertisement

এ দিন শুনানিতে আক্রমের আইনজীবী অভিযোগ করেন, রাজ্যের বিচার বিভাগীয় কমিটি কয়েক বছর ধরে নিষ্ক্রিয়। তাই তাঁর মক্কেল-সহ বিভিন্ন বন্দির মুক্তির বিষয়টি ধাপাচাপা পড়ে রয়েছে। আক্রমের আবেদন দেখে বিচারপতি বসাক সরকারি কৌঁসুলি সাবির আহমেদের কাছে জানতে চান, জেল সুপারের সুপারিশ রূপায়ণে রাজ্য সরকার কী ব্যবস্থা নিয়েছে। সরকারি কৌঁসুলি জানান, তাঁকে রাজ্যের সংশ্লিষ্ট দফতরের কাছ থেকে বিষয়টি জেনে আদালতে জানাতে হবে। বিচারপতি তখন নির্দেশ দেন, তিন সপ্তাহের মধ্যে হলফনামা দিয়ে জানাতে হবে, কী পদক্ষেপ করা হয়েছে।

কারা দফতর সূত্রের খবর, আক্রম একা নন। আক্রমের মতো ৪০ জনেরও বেশি বন্দিকে মুক্তি দেওয়ার জন্য বিভিন্ন জেলের সুপারেরা ছ’বছর ধরে সুপারিশ করে আসছেন। কিন্তু সেই সব সুপারিশের ব্যাপারে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন