ডিএ-বৈষম্যে প্রশ্ন কোর্টের

রাজ্য সরকারের কোনও কর্মী চেন্নাই বা দিল্লিতে কাজ করে বেশি ডিএ বা মহার্ঘ ভাতা পেলে তা বৈষম্য তৈরি করে বলে বৃহস্পতিবার মন্তব্য করল কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি শেখর ববি শরাফ বলেন, ‘‘ডিএ যদি কোনও কর্মীর অধিকার না-ও হয়, তা হলেও কাউকে খেয়ালখুশি মতো কিছু দিলে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠবেই।’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৮ জুন ২০১৮ ০৪:০২
Share:

ফাইল চিত্র।

রাজ্য সরকারের কোনও কর্মী চেন্নাই বা দিল্লিতে কাজ করে বেশি ডিএ বা মহার্ঘ ভাতা পেলে তা বৈষম্য তৈরি করে বলে বৃহস্পতিবার মন্তব্য করল কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি শেখর ববি শরাফ বলেন, ‘‘ডিএ যদি কোনও কর্মীর অধিকার না-ও হয়, তা হলেও কাউকে খেয়ালখুশি মতো কিছু দিলে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠবেই।’’

Advertisement

বিচারপতি শরাফ রাজ্যের এজি কিশোর দত্তের কাছে জানতে চান, একই কাজ করে রাজ্যভেদে পৃথক ডিএ-র যুক্তি কী? চেন্নাই বা দিল্লিতে যাঁরা কাজ করেন, তাঁরা কি সরকারের ‘ব্লু আইড বয়’ (বিশেষ স্নেহভাজন)? এজি জানান, সরকার মনে করে না ডিএ কর্মীর অধিকার। তাই কাউকে বাড়তি কিছু দেওয়া বা না-দেওয়া রাজ্যের বিবেচনাধীন। বকেয়া ডিএ-র দাবিতে কর্মী সংগঠন মামলা করেছিল স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইবুনাল বা স্যাটে। এ দিন বিচারপতি দেবাশিস করগুপ্ত ও বিচারপতি শেখর ববি শরাফের ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, স্যাটের উচিত ছিল, বাড়তি ডিএ কেন দেওয়া হয়, তা যাচাই করা।

গত কয়েক বছরের ডিএ-র হিসেব দাখিল করে এজি জানান, কোনও কর্মীর ডিএ বাকি নেই। কর্মী সংগঠনগুলি বকেয়া বলতে কেন্দ্রের সঙ্গে রাজ্যের ডিএ-র ফারাকের কথা বলতে চাইছে। বিচারপতি শরাফ বলেন, ‘‘তালিকা পেশ করে রাজ্য তা হলে মেনে নিচ্ছে ডিএ অধিকার।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement