ব্যঙ্গচিত্র কাণ্ডে ক্ষতিপূরণ মামলায় পুলিশকে যারপরনাই ভর্ৎসনা করল কলকাতা হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার আদালতে এই মামলার শুনানি চলাকালীন প্রশ্ন উঠল যাদবপুরের শিক্ষক অম্বিকেশ মহাপাত্রের গ্রেফতারের আইনি বৈধতা নিয়েও। যদিও পুলিশের তরফে ব্যাখ্যা দেওয়া হয়, তাঁর নিরাপত্তার প্রশ্নেই তাঁকে নিরাপদ হেফাজতে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু রাজ্য পুলিশের সে ব্যাখ্যাকে নস্যাৎ করে দেয় কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি মঞ্জুলা চেল্লুরের বেঞ্চ। নিরাপত্তার জন্য হেফাজতে নিলে কেন অম্বিকেশবাবুকে জামিন নিতে হয়েছিল সেই প্রশ্নের মুখেও পড়ে পুলিশ। যার ব্যাখ্যা দিতে পারেনি পুলিশ।
চলতি বছরের মার্চেই রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের সুপারিশ মেনে হাইকোর্ট অম্বিকেশবাবু এবং সুব্রত সেনগুপ্তকে ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দিয়েছিল। এক মাসেই মধ্যেই ক্ষতিপূরণের টাকা তাঁদের দেওয়ার নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। কিন্তু তিন মাসের বেশি কেটে গেলেও রাজ্য সরকার এখনও তাঁদেরকে সেই টাকা দেয়নি।
২০১২ সালে রেলভাড়া বাড়িয়ে মমতার কোপে পড়েছিলেন তদানীন্তন রেলমন্ত্রী তথা তৃণমূল সাংসদ দীনেশ ত্রিবেদী। তাঁর জায়গায় আসেন মুকুল রায়। সে বছরেরই এপ্রিলে মুকুল-দীনেশের সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে তৈরি একটি কার্টুন ফেসবুকে ‘ফরওয়ার্ড’ করেছিলেন অম্বিকেশবাবু। তার জেরেই কলকাতা পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে।