কৃষি ও পরিবেশ বিজ্ঞানীরা আগেই বলেছিলেন। এ বার পাওয়ার গ্রিড কর্পোরেশনও প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানাল, হাইটেনশন লাইনে শুধু পরিবেশ কেন, মানুষ-সহ জীব-জন্তুর কোনও ক্ষতি হয় না।
বৃহস্পতিবার সংস্থাটি জানিয়েছে, দেশের আইনে মাটি থেকে ন্যূনতম ন’মিটার উচ্চতায় ট্রান্সমিশন লাইন নিয়ে যাওয়ার কথাই বলা আছে। যে কোনও জীব-জন্তু, মানুষ তাতে নিরাপদ থাকে। পরিবেশেরও ক্ষতি হয় না। সারা দেশে তারা এই উচ্চতা মেনেই ট্রান্সমিশন লাইন নিয়ে যায়। ভাঙড় সাবস্টেশনের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম মানা হয়েছে, দাবি কর্তৃপক্ষের। পশ্চিমবঙ্গে পাওয়ার গ্রিডের ৪০০ কেভির ৪০০০ কিলোমিটার ট্রান্সমিশন লাইন রয়েছে। রয়েছে সাতটি সাবস্টেশন। ২০ বছর পাওয়ার গ্রিড এই বিদ্যুৎ সরবরাহ পরিকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ করে আসছে। ভাঙড়ে যে কয়েকটি যুক্তিকে সামনে রেখে আন্দোলন তার মধ্যে পরিবেশ দূষণ অন্যতম প্রধান। গ্রিড কর্তারা জানান, ভাঙড়ে যে সাবস্টেশনটি হয়েছে, সেটি ‘গ্যাস ইনসুলেটেড’। যা ভারত-সহ ইউরোপ, আমেরিকার প্রতিটি দেশেই লাগানো হচ্ছে। বিশ্বে এমন ৫০০০ সাবস্টেশন চালু রয়েছে, যা প্রযুক্তিগত ভাবে প্রমাণিত এবং পরিবেশ বান্ধব। এই ধরনের সাবস্টেশনে জমিও কম লাগে। ভাঙড়েও সেই উন্নত প্রযুক্তিরই সাবস্টেশন লাগানো হয়েছে।