পাশাপাশি: মন্ত্রী ও হিম্মত। নিজস্ব চিত্র
সরকারি জমি দখলের অভিযোগ-সহ সাতটি মামলায় অভিযুক্ত জয়প্রকাশ চৌহান ওরফে হিম্মত সিংহ। তাঁকে দেখা গেল রাজ্যের পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব-এর সঙ্গে একই অনুষ্ঠান মঞ্চে। আর এই ঘটনা ঘিরেই দেখা দিয়েছে বির্তক। রবিবার শিলিগুড়ি শহরের ঘটনা।
এ দিন একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার তরফে শিলিগুড়ির ৩ নম্বর ওয়ার্ডের গুরুংবস্তিতে দুঃস্থ ও মেধাবী মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণ এবং কাউন্সেলিং করানো হয়। পরে কৃতী এবং দুঃস্থ ছাত্রছাত্রীদের দেওয়া হয় সংবর্ধনা। সেই অনুষ্ঠানেই গিয়েছিলেন মন্ত্রী। অনুষ্ঠান চলাকালীন জামিনে মুক্ত হিম্মত সিংহকে ওই মঞ্চেই ঘোরাফেরা করতে দেখা যায়। যা নিয়েই বিতর্ক। ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার মুখপাত্র করমবীর সিংহ বলেন, ‘‘হিম্মত সিংহ আমাদের সংস্থার সদস্য। এ দিন স্বেচ্ছাসেবক হিসেবেই তিনি এসেছিলেন। বিতর্কের কী রয়েছে!’’
চম্পাসারিতে জমি দখল থেকে শুরু করে আদিবাসীর জমি দখল, জমি কেনাবেচা, প্রতারণা-সহ একাধিক মামলায় দীর্ঘ দিন ধরে জেল হেফাজত এবং পুলিশ হেফাজতে ছিলেন হিম্মত। জমি মামলায় ধরা পড়ার পরে আদালত চত্ত্বরে হিম্মত দু’বার দলের উপরই ভরসা রেখে চলার কথা বলেছিলেন। আর দলের তরফ থেকে তাঁকে কোনওদিনই তৃণমূল নেতা বলেই স্বীকার করতে চাননি দার্জিলিং জেলা সভাপতি তথা পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব। জামিন পেলেও দলের কোনও অনুষ্ঠানে আপাতত হিম্মত সিংহকে যেন দেখা না যায় সেই নির্দেশও রয়েছে বলে দলীয় সূত্রের খবর। এ দিন মন্ত্রীর পাশে হিম্মতকে এগিয়ে যেতে দেখা যায়। যদিও গৌতমবাবু তাঁর দিকে তাকাননি। কোনও কথাও বলেননি।
গৌতমবাবু বলেন, ‘‘একটি অনুষ্ঠানে গিয়েছিলাম। কিন্তু সেখানে কে আসবে না আসবে তা আমি কি ঠিক করতে পারি? আর কে কোথায় ছিল আমি দেখিনি।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘তবে কারও অভিযোগ প্রমাণ না হওয়া পর্যন্ত তো তাঁকে কিন্তু দোষীও বলা যায় না। আমাদের পরিষ্কার কথা জমি দখল বা বেআইনি কাজ হলে, পুলিশ প্রশাসন কড়া ব্যবস্থা নেবে। এর অন্যথা হবে না।’’
রাতে ফোনে ধরা হলে হিম্মত সিংহ বলেন, ‘‘এ সব নিয়ে আমি কিছু বলব না।’’