ভর্তি হয়েও সরকারি হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ঢুকতে না পেরে ফিরে যেতে বাধ্য হলেন চিকেন পক্সে আক্রান্ত এক বৃদ্ধা।
রবিবার রাতে দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট হাসপাতালের ঘটনা। আইসোলেশন ওয়ার্ডে রোগীকে নিয়ে আত্মীয়রা দীর্ঘক্ষণ ডাকাডাকি করলেও কেউ দরজা খোলেনি বলে অভিযোগ। গভীর রাতে রোগীকে নিয়ে তাঁর পরিজনেরা বাড়ি ফিরে যেতে বাধ্য হন। সোমবার ঘটনার খবর পেয়ে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুকুমার দে বিকেলে অ্যাম্বুল্যান্স পাঠিয়ে ওই বৃদ্ধাকে হাসপাতালে ভর্তির ব্যবস্থা করেন।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার বালুরঘাট শহরের চকভবানি এলাকার বাসিন্দা ৬৫ বছরের কবিতা সরকার চিকেন পক্সে আক্রান্ত হন। রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ তাঁর ছেলে জামাই-সহ আত্মীয়েরা তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যান। জরুরি বিভাগে চিকিৎসক কবিতাদেবীকে দেখে ওষুধ লিখে আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তির ব্যবস্থা করেন। বৃদ্ধার ছেলে রথীন সরকারের অভিযোগ, সেখানে নিয়ে যেতে হাসপাতালের এক অস্থায়ী কর্মীকে সঙ্গে দেওয়া হয়। কিছুটা পায়ে হেঁটে গিয়ে তিনি দূর থেকে আইসোলেশন ওয়ার্ড দেখিয়ে চলে যান। এরপর ওয়ার্ডে গিয়ে দেখা যায় মূল ফটকটি ভেতর থেকে বন্ধ। অনেক ডাকাডাকি করেও কেউ দরজা খোলেনি। রথীনবাবু বলেন, ‘‘আমরা জরুরি বিভাগে ফিরে এসে চিকিৎসককে জানালে তিনি একজন নৈশপ্রহরীকে বিষয়টি দেখতে বলেন। তিনিও ডাকাডাকি করে কোনও সাড়া পাননি। ভিতর থেকে দরজায় তালা মারা ছিল।’’
রোগীর আত্মীয় খগেন্দ্রনাথ মন্ডল বলেন, ‘‘প্রায় দেড় ঘণ্টা অপেক্ষা করেও কবিতাদেবীকে ভর্তি করাতে না পেরে রাত ১টা নাগাদ বৃদ্ধাকে নিয়ে বাড়ি ফিরে যেতে বাধ্য হই। পক্সের রোগী বলে রাতে নার্সিংহোমেও ভর্তি নিতে চায়নি।’’