সবুজ সার হিসাবে ব্যবহারের ক্ষেত্রে ধৈঞ্চা গাছ মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া হয় বাড়ন্তকালে। কিন্তু সেটা না করে ধৈঞ্চা পূর্ণ সময়ের জন্য চাষও করা যায়। কারণ ধৈঞ্চার আরও অনেক উপকারী দিক আছে—
• বন্যাপ্রবণ এলাকায় এই চাষ বিশেষ উপযোগী। ভূমিক্ষয় রোধ বা ভাঙন রোধে সাহায্য করে।
• ধৈঞ্চার কাণ্ড পানের বরজে কাজে লাগে। মাচা তৈরিতে, জ্বালানি হিসাবে ব্যবহার করা যায়।
• ধৈঞ্চার বীজের বাজারে ভাল চাহিদা রয়েছে। পরের মরসুমের চাষের জন্য তো লাগেই, পশু-খাদ্য হিসাবেও বীজের ব্যবহার হয়। প্রতি একর জমি থেকে কমপক্ষে ৭.৫ কুইন্টাল বীজ পাওয়া সম্ভব।
—সব মিলিয়ে প্রতি একরে ধৈঞ্চা চাষ করতে হাজার চারেক টাকা খরচ পড়লে লাভ হয় হাজার পনেরোর বেশি। এই জন্য হুগলি জেলায় বেশ কিছু এলাকায় খরিফ মরসুমে আমন ধানের পরিবর্তে ধৈঞ্চা চাষ করেন অনেকে। এখানে ধৈঞ্চাগাছগুলি একটু ঘন থাকে। কাণ্ডগুলি সরু ও লম্বা হয়। গাছে যখন ফুল আসে, তখন পাতামোড়া এবং কুঁড়ি ও শুটি ছিদ্রকারী পোকার আক্রমণ হয়। পোকা নিয়ন্ত্রণের জন্য ফুট স্প্রেয়ারের সাহায্যে অ্যাসিফেট ৭৫% (স্টারথেন/অ্যাসাটাফ) ০.৭৫ গ্রাম বা ফ্লুবেন্ডামাইড ( ফেম/টেকুমি) ০.২ মিলি/গ্রাম প্রতি লিটার জলে আঠা-সহ গুলে ১০ দিন অন্তর দু’বার স্প্রে করলে ফলন বেড়ে ১০ কুইন্টাল পর্যন্ত বীজ পাওয়া যেতে পারে। তাতে লাভ আরও বেশি। মাটির স্বাস্থ্য রক্ষা উপরি পাওনা।