খুঁড়িয়ে চলল শহর, অচল হাওড়া

কলকাতার দিকে ঢুকতে না দেওয়ার জন্য হাওড়া সেতুতে এ দিন গাড়ির দীর্ঘ লাইন পড়ে যায়। কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে ওই রাস্তা। একই অবস্থা হয় কোনা এক্সপ্রেসওয়েরও।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৪ এপ্রিল ২০১৯ ০১:০০
Share:

অবরুদ্ধ: ব্রিগেডের সভার জেরে বুধবার হাওড়া সেতুর উপরে থমকে যায় যানবাহন। নিজস্ব চিত্র

সপ্তাহের তৃতীয় কাজের দিন। তার উপরে ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভা। দু’য়ে মিলে বুধবার বড় পরীক্ষা ছিল কলকাতা ট্র্যাফিক পুলিশের। বেলা শেষে পথের অভিজ্ঞতা থেকে তাদের পাশ করিয়ে দিচ্ছেন অনেকেই। আমজনতার বক্তব্য, ‘‘গাড়ি খানিকটা ধীরে চললেও সে ভাবে হাঁসফাঁস অবস্থা হয়নি।’’ ট্র্যাফিক পুলিশের শীর্ষ আধিকারিকেরা বলছেন, ‘‘গত চার মাসে এই নিয়ে তিনটি বড় সভা হল ব্রিগেডে। বড় সভার দিনে ট্র্যাফিক সামলানো আমাদের কাছে এখন জলভাত।’’

Advertisement

তবে এর মধ্যেও কলকাতা ট্র্যাফিক পুলিশের কৃতিত্বে কাঁটা হয়ে বিঁধছে এ দিন সকালের হাওড়া সেতু ও কোনা এক্সপ্রেসওয়ের পরিস্থিতি। কলকাতার দিকে ঢুকতে না দেওয়ার জন্য হাওড়া সেতুতে এ দিন গাড়ির দীর্ঘ লাইন পড়ে যায়। কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে ওই রাস্তা। একই অবস্থা হয় কোনা এক্সপ্রেসওয়েরও। হাওড়া সিটি পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সকাল সাড়ে ১০টার পরে ছ’নম্বর জাতীয় সড়ক অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। সাঁতরাগাছি সেতু থেকে গাড়ির সারি ছাড়িয়ে যায় টোল প্লাজা পর্যন্ত। পুলিশের দাবি, জাতীয় সড়ক থেকে ওই সময়ে একসঙ্গে কয়েক হাজার গাড়ি কোনা এক্সপ্রেসওয়েতে ঢুকে পড়েছিল। যার জেরে ওই অবস্থা হয়। সেই সময়ে কলকাতার দিকেও চাপ থাকায় গাড়ি ঢুকতে দেয়নি কলকাতা পুলিশ। ফলে সব মিলিয়ে দমবন্ধ অবস্থা হয় কোনা এক্সপ্রেসওয়েতে। দুপুর দেড়টার পর থেকে ধীরে ধীরে কলকাতায় গাড়ি ঢোকা শুরু হলে যানজট কাটতে শুরু করে।

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

Advertisement

সভা ঘিরে এ দিন কলকাতার এ পি সি রোড, এ জে সি বসু রোড, এস এন ব্যানার্জি রোড এবং ধর্মতলায় যানজট হতে পারে বলে আশঙ্কা করেছিলেন খোদ পুলিশকর্তারাই। সে ভাবে চাপ পড়েনি ঠিকই। তবে মুরলীধর সেন লেনে বিজেপির সদর দফতর থেকে বেরোনো মিছিলের জেরে কিছুটা যানজট হয়েছে চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউ এবং বি বি গাঙ্গুলি স্ট্রিটে। মঙ্গলবার কলকাতা ট্র্যাফিক পুলিশের (ডিসি) সন্তোষ পাণ্ডে বলেছিলেন, ‘‘সভা শেষে কিছুটা চাপ হতে পারে।’’ সেই মতো এ দিন সভা শেষে স্ট্র্যান্ড রোড হয়ে বিদ্যাসাগর সেতুর দিকে গাড়ির লম্বা লাইন দেখা যায়। চাপ ছিল জওহরলাল নেহরু রোড, পার্ক স্ট্রিট, শেক্সপিয়র সরণিতেও। তবে কিছুক্ষণের মধ্যেই সেই চাপ কাটিয়ে ফেলা গিয়েছে বলে দাবি কলকাতা পুলিশের। অতিরিক্ত কমিশনার (১) জাভেদ শামিম বলেন, ‘‘যানজট সে অর্থে হয়নি। গাড়ি চলাচল মসৃণই ছিল।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement