Teak Wood

১০ লক্ষের চোরাই সেগুন কাঠপাচার! পুলিশের জালে অভিযুক্ত কাঠগোলার মালিক-সহ আট

দারোয়ানকে আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে বেঁধে রেখে গুদাম থেকে প্রায় ১০-১২ লাখ টাকার সেগুন কাঠ ডাকাতি করা হয়েছিল, দাবি মালিকের।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

লিলুয়া এবং সিঙ্গুর শেষ আপডেট: ১৪ জুলাই ২০২১ ২০:৫৬
Share:

—নিজস্ব চিত্র।

চোরাই সেগুন কাঠ পাচার করতে গিয়ে পুলিশের জালে এক কাঠগোলার মালিক-সহ আট জন। বুধবার সকালে হুগলি জেলায় কোনার থালিয়াতে একটি কাঠের গুদামে হানা দেয় লিলুয়া এবং সিঙ্গুর থানার পুলিশ। ওই যৌথ অভিযানে এক কাঠগোলা মালিককে গ্রেফতার করা হয়। সেই গুদাম থেকেই প্রায় ১০ লক্ষ টাকার সেগুন কাঠ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার ধৃতদের হাওড়া আদালতে তোলা হলে ওই কাঠগোলার মালিক-সহ তিন জনের তিন দিনের পুলিশ হেফাজত এবং বাকিদের ১৪ দিন জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এই ঘটনায় জড়িত বাকিদের সন্ধানে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে খবর, গত মাসে ওই সেগুন কাঠগুলি চুরির অভিযোগ দায়ের করেছিলেন সিঙ্গুরের পুরুষোত্তমপুরের শর্মা কাঠমিলের মালিক প্রবীণকুমার শর্মা। তাঁর অভিযোগ, ‘‘গত ১১ জুন গভীর রাতে আমার কাঠকলে হানা দেয় দুষ্কৃতীরা। দারোয়ানকে আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে বেঁধে রেখে গুদাম থেকে প্রায় ১০-১২ লাখ টাকার সেগুন কাঠ গাড়িতে তুলে নিয়ে চলে যায়। ওই ঘটনার পরের দিনই সিঙ্গুর থানায় অভিযোগ করি।’’

তদন্তে নেমে শর্মা কাঠমিলের শ্রমিকদের জেরা করতে শুরু করে পুলিশ। পুলিশের দাবি, জেরায় জানা গিয়েছে যে ওই কাঠমিলের বেশ কয়েক জন ঠিকা শ্রমিক-সহ অনেকে এই ডাকাতিতে জড়িত। এর পর একে একে সাত অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে সিঙ্গুর থানার পুলিশ। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে তাপস সাউ নামে ওই কাঠগোলার মালিকের সন্ধান পাওয়া যায়। চোরাই কাঠপাচারের অভিযোগে তাকেও গ্রেফতার করে পুলিশ।

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, সেগুন কাঠগুলি ডাকাতি করে লিলুয়ার কোনায় একটি কাঠকলে বিক্রি করে দিয়েছিল শর্মা কাঠকলের কয়েক জন ঠিকা শ্রমিক। সেখান থেকেই চোরাই কাঠগুলি উদ্ধার করা হয়েছে। হুগলির পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) আমনদীপ বলেন, ‘‘সেগুন কাঠ ডাকাতির ঘটনায় মোট আট জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশি হেফাজতে নিয়ে ধৃতদের জেরা করে আরও তথ্য জানতে হবে। এর সঙ্গে আরও কেউ রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন