TMC-CPM Clash

তৃণমূল-সিপিএম সংঘর্ষ কামারপুকুরে, জখম ৮

শনিবার সকালে সিপিএম-তৃণমূল সংঘর্ষে দু’পক্ষের লাঠালাঠি, কিল-ঘুষিতে জখম হন অন্তত ৮ জন। তাঁদের মধ্যে চার জনকে কামারপুকুর গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

গোঘাট শেষ আপডেট: ০২ এপ্রিল ২০২৩ ০৯:২৪
Share:

কামারপুকুরে এই দেওয়াল দখলকে ঘিরেই সংঘর্ষ। নিজস্ব চিত্র।

প্রায় এক যুগ পরে সিপিএম-তৃণমূল সংঘর্ষে তেতে উঠল গোঘাটের কামারপুকুরের সব্জিবাজার এলাকা। শনিবার সকালে সেখানে দলীয় কর্মসূচি প্রচারের জন্য দেওয়াল দখলকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের লাঠালাঠি, কিল-ঘুষিতে জখম হন অন্তত ৮ জন। তাঁদের মধ্যে চার জনকে কামারপুকুর গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পুলিশ জানায়, সন্ধ্যা পর্যন্ত কোনও পক্ষ লিখিত অভিযোগ দায়ের করেনি।

Advertisement

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, যে দেওয়াল দখলকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, তা পূর্ত দফতরের জায়গায় তৈরি একটি দোকানের। সেই দেওয়ালে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে কলকাতায় গান্ধী মূর্তির পাদদেশে জমায়েত সংক্রান্ত একটি পুরনো প্রচার-লিখন ছিল। ছিল নানা অরাজনৈতিক সংগঠনের পোস্টারও। এ দিন সে সবের উপরেই চুনকাম করছিল সিপিএম। খবর পেয়ে তৃণমূল কর্মীরা সেখানে হাজির হন। দু’পক্ষ বচসা থেকে সংঘর্ষে জড়ায়।জখমদের মধ্যে তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি রাজদীপ দে’র অভিযোগ, “আমাদের বিভিন্ন কর্মসূচি প্রচারের দেওয়ালটিতে সিপিএম চুন লেপে মুছে দখল করতে চাইছিল। প্রতিবাদ করতে গেলে ওদের দলীয় পতাকা বাঁধার লাঠি দিয়ে মারধর তো করেই, পাশের একটি দোকান থেকে হেঁসো বের করেও আঘাত করে।”

পক্ষান্তরে, জখম সিপিএমের ২ নম্বর এরিয়া কমিটির সদস্য শ্রীকান্ত চক্রবর্তীর পাল্টা অভিযোগ, “সরকারি জায়গার উপর দেওয়াল কারও দখলে নেই। আমরা চুনকাম করে দলের ৫ এপ্রিলের দিল্লি সমাবেশকে কেন্দ্র করে স্থানীয় কর্মসূচি নিয়ে দেওয়াল লিখতে গিয়েছিলাম। তৃণমূলের ছেলেরা জড়ো হয়ে আমাদের পিটিয়ে ছত্রভঙ্গ করে। দলের এরিয়া কমিটির সম্পাদক সত্যসাধন ঘোষও চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাঁর অভিযোগ, “দলের ছেলেদের মারধর করা হয়েছে খবর পেয়ে হাসপাতালে দেখতে যাচ্ছিলাম। রাস্তায় ঘিরে আমাকেও মারধর করা হয়।”

Advertisement

এ দিনের গোলমাল প্রসঙ্গে স্থানীয় সিপিএম নেতা তিলক ঘোষের দাবি, ‘‘পঞ্চায়েত ভোটের আগে তৃণমূল আমাদের ভয় পেয়েছে। অন্যায় ভাবে ওরা জড়ো হয়ে আমাদের ছেলেদের মারধর করেছে। আমাদের মাত্র ৬-৭ জনই সাধ্যমতো প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন। থানায় অভিযোগ দায়ের করা হচ্ছে।” অন্যদিকে, তৃণমূলের গোঘাট-২ ব্লক সভাপতি অরুণ কেওড়ার পাল্টা দাবি, “আমাদের দখলে থাকা দেওয়াল ওরা (সিপিএম) দখল করছিল। ৩৪ বছর ধরে ওদের নানা অত্যাচারের সাক্ষী আমরা। এখনও আমাদের ছেলেরা দাঁড়িয়ে মার খাবে? তারা প্রতিবাদের চেষ্টা করেছে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন