Arrest

৪০০ কোটির প্রতারণা, আসানসোল থেকে ধৃত ব্যান্ডেলের শিবু

বেআইনি ভাবে টাকা তোলার অপরাধে শিবুর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে তদন্তে নেমেছিল দেশের অর্থ লগ্নি সংস্থাগুলির নিয়ন্ত্রক সেবি। ২০১৮ সালে শিবুর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

চুঁচুড়া ও রূপনারায়ণপুর শেষ আপডেট: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৮:২২
Share:

ব্যান্ডেলে সুব্রত দাস (ইনসেটে) -এর বাড়ি। —নিজস্ব চিত্র।

চিট ফান্ডের নামে সাধারণের থেকে চারশো কোটির টাকার বেশি তুলে প্রায় এক দশক আগে হুগলির ব্যান্ডেলের বাড়ি ছেড়েছিল সুব্রত দাস ওরফে শিবু। পুলিশ সূত্রের খবর, স্ত্রী ও একমাত্র মেয়েকে নিয়ে আসানসোলে গা ঢাকা দিয়েছিল সে। কিছুতেই তার নাগাল পাচ্ছিল না চুঁচুড়া থানার পুলিশ। অবশেষে, চুঁচুড়া থানার সাব-ইন্সপেক্টর অনিমেষ হাজারির নেতৃত্বে একটি দল আসানসোলে পৌঁছয়। সেখানে সালানপুর থানার রূপনারায়ণপুর ফাঁড়ির সহযোগিতায় স্থানীয় একটি বাড়ি থেকে শনিবার ভোরে বছর সাতান্নর শিবুকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

Advertisement

বেআইনি ভাবে টাকা তোলার অপরাধে শিবুর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে তদন্তে নেমেছিল দেশের অর্থ লগ্নি সংস্থাগুলির নিয়ন্ত্রক সেবি। ২০১৮ সালে শিবুর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়। এ দিন গ্রেফতারির পরে চুঁচুড়া আদালতের নির্দেশে সেবি-র হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে শিবুকে।

ব্যান্ডেল বনমসজিদতলায় শিবুর পৈতৃক বাড়ি। ছোটবেলা থেকে সেখানেই থাকত সে। হুগলি ইমামবাড়ার কাছে একটি বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুল থেকে পড়াশোনা শুরু। পরে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং করলেও ব্যবসা শুরু করে। ‘হুগলি এগ্রো ইনভেস্টমেন্ট’ নামে একটি চিট ফান্ড চালাত সে। সে সময়ে হুগলির কয়েক হাজার মানুষের থেকে টাকা তোলার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। ২০১৫ সালে সেবি সুব্রতের বিরুদ্ধে প্রায় ৪২৫ কোটি টাকার প্রতারণার মামলা দায়ের করে।

Advertisement

শিবুর বাবা রবীন্দ্রকুমার ছিলেন জুট মিল শ্রমিক। বছর পনেরো আগে মারা গিয়েছেন। মা ছবিরানি বড় ছেলে-বৌকে নিয়ে ওই বাড়িতে থাকেন। ছবিরানি বলেন, ‘‘বহু দিন ধরে ছেলে সম্পর্ক রাখে না। শুনেছিলাম, ব্যবসা করে। কিসের, তা বলতে পারব না। পুলিশ গ্রেফতার করেছে, সেটাও জানি না।’’ স্থানীয় এক মহিলা বলেন, ‘‘অনেক দিন আগে দেখেছি শিবুকে। কিন্তু কী করত জানি না।’’ এলাকার প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলর সঞ্জয় পালের দাবি, ‘‘শুনেছিলাম লোকের কাছ থেকে দশ, কুড়ি টাকা করে তুলত। কিন্তু তার অঙ্ক যে এত বড় হতে পারে ভাবতেই পারছি না!’’

২০১২ সাল থেকে আসানসোলেই ঘাঁটি গেড়েছিল শিবু। রূপনারায়ণপুরের রাঙামাটিয়ায় ওই বাড়িতে ভাড়া থাকার পাশাপাশি পিঠাইকেয়ারিতে এক ব্যক্তির থেকে জমি লিজ় নিয়ে একটি অস্থায়ী ঘর বানিয়ে আলমারি ও অন্য আসবাব তৈরির কারখানাও খুলে ফেলেছিল। ওই এলাকার বাসিন্দারা শিবুর পূর্ব পরিচয় জেনে হতবাক।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন