আরামবাগে মমতার সভার আগে গোষ্ঠীকোন্দল
TMC Internal Conflict

খানাকুলে তৃণমূল কর্মীকে চেলাকাঠ দিয়ে মারধর

গোটা ঘটনায় অস্বস্তিতে তৃণমূলের আরামবাগ সাংগঠনিক জেলা নেতৃত্বের একাংশ। তাঁরা চাইছেন, গোলমালকারীদের বিরুদ্ধে পুলিশ কড়া পদক্ষেপ করুক।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

খানাকুল শেষ আপডেট: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০৯:১২
Share:

চিকিৎসাধীন তাপস বেরা। আরামবাগে। নিজস্ব চিত্র

সোমবার আরামবাগে প্রশাসনিক সভা করতে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার আগে শাসকদল তৃণমূলের গোষ্ঠী-কোন্দলে উত্তেজনা ছড়াল এই মহকুমার খানাকুলের নিরঞ্জনবাটীতে। শনিবার রাতে এখানে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর লোকজনের মধ্যে মারামারি হয়। তাপস বেরা নামে এক তৃণমূল কর্মীকে গুরুতর আহত অবস্থায় আরামবাগ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। তাঁকে চেলাকাঠ দিয়ে পেটানো হয় বলে অভিযোগ।

Advertisement

গোটা ঘটনায় অস্বস্তিতে তৃণমূলের আরামবাগ সাংগঠনিক জেলা নেতৃত্বের একাংশ। তাঁরা চাইছেন, গোলমালকারীদের বিরুদ্ধে পুলিশ কড়া পদক্ষেপ করুক। তাপসকে মারধরে অভিযুক্ত এক তৃণমূল কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

তৃণমূল ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দলের খানাকুল ১ ব্লক সভাপতি তথা কিশোরপুর ২ পঞ্চায়েতের প্রাক্তন উপপ্রধান দীপেন মাইতি এবং কিশোরপুর ১ পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান সন্দীপ বরের দলবলের মধ্যেই এই অশান্তি। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তাপসের কথাতেও তা স্পষ্ট। সন্দীপের অনুগামী বলে পরিচিত তাপসের বক্তব্য, ‘‘নিরঞ্জনবাটীর মার্কেট কমপ্লেক্সের দখলদারি নিয়ে কয়েক দিন ধরেই অশান্তি চলছিল। তার মধ্যেই শনিবার মার্কেট চত্বরে শনিপুজোর উদ্যোগের জন্য আমাকে ‘ডন হয়ে গিয়েছিস’ বলে রাস্তায় ফেলে চেলা কাঠ দিয়ে মারে। মাথা ফাটিয়ে দেয়।’’

Advertisement

তাপস ৫ জনের বিরুদ্ধে খানাকুল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তার ভিত্তিতে পুলিশ রাতেই শঙ্কর বেরা নামে এক জনকে গ্রেফতার করে। অন্য চার অভিযুক্তের খোঁজ চলছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। অভিযুক্তেরা সকলেই দীপেন ঘনিষ্ঠ বলে এলাকায় পরিচিত।

তৃণমূলের একটি সূত্রে খবর, সন্দীপ পঞ্চায়েতের প্রধান থাকাকালীন নিরঞ্জনবাটীতে একটি মার্কেট কমপ্লেক্স হয়। ওই বাজারের ‘আয়’ নিয়েই গোলমাল। যদিও মার্কেট কমপ্লেক্স ‘দখলদারি’ এবং গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের প্রসঙ্গে স্পষ্ট উত্তর দেননি দুই নেতা। দীপেন বলেন, ‘‘নিজেদের মধ্যে কোথায় কী হয়েছে, আমার ভাল করে জানা নেই। মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক সভার নানা কর্মসূচি নিয়ে ব্যস্ত আছি।’’ সন্দীপের প্রতিক্রিয়া, ‘‘মার্কেট এবং শনিপুজোকে কেন্দ্র করে ঘটনা একটা ঘটেছে। আমারা অইনের দ্বারস্থ হয়েছি। পুলিশ পদক্ষেপও করেছে।’’

তৃণমূলের আরামবাগ সাংগঠনিক জেলা যুব সভাপতি পলাশ রায়ের মন্তব্য, ‘‘ওই ঘটনার সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্ক নেই। কোনও বিশৃঙ্খলাকারীর পাশে দল থাকবে না। দলমত নির্বিশেষে বিশৃঙ্খলাকারীদের বিরুদ্ধে পুলিশকে কঠোর পদক্ষেপ করার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন