mumbai road

মুম্বই রোডে পুলিশের ‘তোলাবাজি’, নালিশ

বহু ট্রাক-চালকের অভিযোগ একই, কর্তব্যরত পুলিশের হাতে টাকা না গুঁজলে যাওয়ার উপায় নেই।

Advertisement

সুব্রত জানা

শেষ আপডেট: ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ১০:৩৮
Share:

জুলুম: এ ভাবেই প্রতিদিন টাকা তোলে পুলিশ। —নিজস্ব চিত্র

মোটা টাকা ‘টোল’ দিয়ে যাতায়াত করতে হয় মুম্বই রোড বা ৬ নম্বর জাতীয় সড়কে। কিন্তু ওই সড়ক ব্যবহার করতে এখন আতঙ্কে ভুগছেন ট্রাক-চালকেরা। রাস্তা বেহাল নয়। তাঁদের আতঙ্কের কারণ, পুলিশের হাত!
বহু ট্রাক-চালকের অভিযোগ একই, কর্তব্যরত পুলিশের হাতে টাকা না গুঁজলে যাওয়ার উপায় নেই। বিশেষ করে নিবড়া থেকে নাউপালা পর্যন্ত ওই সড়কের প্রায় ৬৫ কিলোমিটার অংশেই ট্রাক-চালকদের আতঙ্ক বেশি। যে কোনও দিন ওই এলাকায় গেলেই ট্রাক-চালকদের থেকে হাত বাড়িয়ে পুলিশের টাকা নিতে দেখা যাবেই, এমন দাবি এলাকাবাসীরও।
রাস্তাটির একাংশ পড়ছে হাওড়া সিটি পুলিশের অধীনে। বাকিটা জেলা (গ্রামীণ) পুলিশের। পুলিশকর্তারা অবশ্য দাবি করেছেন, রাস্তায় পুলিশের তোলাবাজি নিয়ে কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি। হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ট্রাক-চালকদের দাবি, পুলিশের বিরুদ্ধেই থানায় অভিযোগ করতে তাঁরা সাহস পান না। কারণ, ঘন ঘন তাঁদের ওই সড়ক ব্যবহার করতে হয়। তা ছাড়া, ট্রাক নিয়ে রাস্তায় বেরিয়ে কখন কোন আইনে তাঁরা পুলিশের রক্তচক্ষুর সামনে পড়বেন, সেটাও চিন্তার।
থানা পর্যন্ত না-গেলেও ট্রাক-চালকেরা তাঁদের ক্ষোভ গোপন করছেন না। বীরশিবপুরের এক ট্রাক-চালক বলেন, ‘‘ডিজেলের দাম হু হু করে বাড়ছে। টোল-ট্যাক্সও কম নয়। পরিবহণ ব্যবসা এমনিতেই ক্ষতির মুখে দাঁড়িয়ে। এর উপরে পুলিশের টাকা তোলাটা মেনে নেওয়া যায় না।’’
আর এক ট্রাক-চালক বলেন, ‘‘পুলিশকে টাকা দিতে হয় আমাদের পকেট থেকেই। কখনও ৫০, কখনও ১০০, কখনও ১৫০। এই টাকা মালিকের থেকে পাওয়া যায় না। আমরা গরিব মানুষ। সারাদিন ট্রাক চালাই। এত টাকা পাব কোথায়?’’
কেন তাঁরা টাকা দিচ্ছেন পুলিশকে?
ট্রাক-চালকদের দাবি, জাতীয় সড়কের বিভিন্ন থানা এলাকায় পুলিশের টহলদারি গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকে। টাকা না দিলে নানা বিষয়ে জেরা করা হয়। নথি পরীক্ষা, তল্লাশির পরেও ট্রাক দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। বিনা কারণে মোটা অঙ্কের জরিমানা করার ভয় দেখানো হয়। বিশেষ করে পণ্যবোঝাই, বালিবোঝাই এবং গরুবোঝাই ট্রাক দেখলেই পুলিশ হাত বাড়ায় বলে অভিযোগ। দ্রুত গন্তব্যে পৌঁছনোর তাগিদে তাঁরা টাকা দিয়ে দেন বলে জানিয়েছেন ট্রাক-চালকেরা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement