IIEST-Shibpur

শিবপুরের চার শিক্ষকের কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া হল নির্দেশ অমান্যের

এই প্রযুক্তি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এনআইআরএফ র‌্যাঙ্কিং ১৭ থেকে ৪০-এ  নেমে যাওয়া, ক্যাম্পাসের দুর্বল পরিকাঠামো, সহ বিভিন্ন অভিযোগে দীর্ঘদিন ধরেই ক্ষোভ জমছিল আইআইইএসটি-র অন্দরে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৬ এপ্রিল ২০২৩ ০৬:৫৭
Share:

দেশের অন্যতম প্রাচীন প্রযুক্তি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান—শিবপুরের আইআইইএসটি। ফাইল ছবি।

‘আইআইইএসটি, শিবপুরকে বাঁচান’— এমনই আবেদন লেখা ব্যানার লাগানো হয়েছিল ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দু’টি গেটের বাইরে। যার জেরে সেই কাজের ব্যাখ্যা চাওয়া হল আইআইইএসটি-র শিক্ষক সমিতির সম্পাদক তপেন্দু মণ্ডল-সহ চার জন শিক্ষকের কাছে। ‘নির্দেশ অমান্য’ করার দায়ে এই ব্যাখ্যা চেয়েছেন কার্যনির্বাহী রেজিস্ট্রার দেবাশিস দত্ত। বুধবার সন্ধ্যায় অবশ্য কর্তৃপক্ষ ওই ব্যানার খুলে নেন।

Advertisement

দেশের অন্যতম প্রাচীন এই প্রযুক্তি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এনআইআরএফ র‌্যাঙ্কিং ১৭ থেকে ৪০-এ নেমে যাওয়া, ক্যাম্পাসের দুর্বল পরিকাঠামো, পেশাগত বিভিন্ন সমস্যার সমাধান না হওয়া-সহ বিভিন্ন অভিযোগে দীর্ঘদিন ধরেই ক্ষোভ জমছিল আইআইইএসটি-র অন্দরে। তপেন্দু এ দিন জানালেন, অন্যান্য দাবির পাশাপাশি অবিলম্বে শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া শেষ করা, ক্যাম্পাসে সমস্ত পড়ুয়ার থাকার ব্যবস্থা করা-সহ বেশ কিছু দাবি তাঁদের রয়েছে। সেই সব দাবিদাওয়া নিয়েই এ দিন মিছিল করা হয় এবং এক ও দু’নম্বর গেটে ব্যানার টাঙানো হয়। তিনি বলেন, ‘‘দাবিদাওয়া জানানোর অধিকার, আন্দোলনের অধিকার আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকার। কর্তৃপক্ষ যতই বাধা দেওয়ার চেষ্টা করুন, আমরা তা চালিয়ে যাব।’’

তিনি আরও জানান, ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বর্তমান পরিস্থিতির বিষয়ে তাঁরা প্রাক্তনীদের জানাচ্ছেন। কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রককেও জানানো হবে। শিক্ষক সমিতির সভাপতি মানস হীরা বলেন, ‘‘ঐতিহ্যশালী এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে বাঁচানোর দায়িত্ব গোটা দেশের। এই প্রতিষ্ঠান যে ভাবে অবনমনের দিকে এগোচ্ছে, তা নিয়ে সরব হওয়া প্রয়োজন সকলের। শিক্ষকেরা যখন তা নিয়ে কথা বলছেন, তখন কর্তৃপক্ষ এমন দমনমূলক মনোভাব দেখাচ্ছেন।’’ এ বিষয়ে কথা বলতে কার্যনির্বাহী রেজিস্ট্রারের সঙ্গে চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা যায়নি।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন