Arambagh

ভরছে পুকুর, দাবি জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থার

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, প্রায় ১২ বিঘা পুকুরটি বহু পুরনো। বছর দশেক আগেও সেখানে মাছের প্রাচুর্য ছিল। পুকুরের মালিকানা বদল হতে হতে এখন বহু অংশীদার।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আরামবাগ শেষ আপডেট: ২০ মার্চ ২০২৩ ০৯:২৪
Share:

নালিশ: পুকুরের পাড়ে পড়ছে মাটি। আরামবাগের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের শ্রীনিকেতন পল্লিতে। নিজস্ব চিত্র

মাস তিনেক আগে রাতের অন্ধকারে মাটি ফেলে পুকুর ভরাটের অভিযোগ উঠেছিল আরামবাগের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের শ্রীনিকেতন পল্লিতে। তবে স্থানীয় মানুষের শোরগোলে সেই কাজ সাময়িক ভাবে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। দিন কয়েক আগে স্থানীয়রা দেখেন, ৬৪০ নম্বর দাগের হালদার পুকুরটি ফের মাটি ফেলে ভরাট করা চলছে। এরপরই পুকুর বোজানোর প্রতিবাদে এলাকাবাসী গণস্বাক্ষর করে ব্লক ভূমি দফতর এবং থানায় অভিযোগদায়ের করেন।

Advertisement

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, প্রায় ১২ বিঘা পুকুরটি বহু পুরনো। বছর দশেক আগেও সেখানে মাছের প্রাচুর্য ছিল। পুকুরের মালিকানা বদল হতে হতে এখন বহু অংশীদার। এমনকি খানাকুল-১ এবং আরামবাগের বিভিন্ন গ্রামের ব্যবসায়ীরা সেই পুকুরের অংশ কিনে পাড়ের কিছুটা ভরাট করে বাড়ি তৈরি করছেন বলে অভিযোগ। স্থানীয় সুরজিৎ ঘোষাল, প্রশান্ত বর্মনদের অভিযোগ, গত পাঁচ বছর ধরে পুকুরের পাড়গুলো একটু একটু করে ভরাট হয়ে বাড়ি তৈরি হয়েছে। গত ডিসেম্বর মাসে সরাসরি পুকুরে কেউ মাটি ফেলছিল। তা নিয়ে আমরা প্রতিবাদ করি। তখন কাজ থামে। কিন্তু ফের একই তো হচ্ছে।’’ তাঁদের দাবি, যারা এই কাজ করছে, তাদের চিহ্নিত আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হোক।

পুরপ্রধান সমীর ভান্ডারী বলেন, “বিষয়টা ভূমি দফতর এবং পুলিশের নজরে এনেছি। আমাদের তরফেও এই বেআইনি কাজ বন্ধের নোটিস দেওয়া হচ্ছে।” ব্লক ভূমি দফতরের এক আধিকারিক বলেন, “অভিযোগ পাওয়ার পর তদন্ত শুরু হয়েছে। সংশ্লিষ্ট দাগটির মালিকানা খতিয়ে দেখে আইনগত পদক্ষেপওকরা হবে।”

Advertisement

পুকুরটি ভরাট করা নিয়ে গত ডিসেম্বর মাসে ১৯ নম্বরের পুর-প্রতিনিধি বিজেপি নেতা বিশ্বজিৎ ঘোষ লিখিত অভিযোগ করেছিলেন ভূমি দফতর এবং মহকুমা প্রশাসনের কাছে। বিশ্বজিতের অভিযোগ, “চন্দন সামন্ত নামে এক অংশীদার এই পুকুর ভরাট করছেন। পুলিশ ব্যবস্থা নিচ্ছে না।’’ অভিযোগ উড়িয়ে চন্দনের দাবি, ‘‘উনি মিথ্যা অভিযোগ তুলছেন। আমার বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ মেলেনি। অসংখ্য মালিকানার মধ্যে কার কোনটা জায়গা, কে ভরাট করছেন, এ সব আমার জানা নেই।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন