Mathamatics Lab at Amta School

প্রাথমিকের পড়ুয়াদের অঙ্ক ভীতি কাটাতে ‘ম্যাথ ল্যাব’

আওড়গাছি প্রাথমিক স্কুলটি প্রত্যন্ত এলাকায় অবস্থিত। পড়ুয়ার সংখ্যা ৬১।শিক্ষকের সংখ্যা তিন। সিংহভাগ পড়ুয়া আসে গরিব ও মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে।

Advertisement

নুরুল আবসার

আমতা শেষ আপডেট: ১৫ ডিসেম্বর ২০২৩ ০৭:১২
Share:

আওড়গাছি প্রাথমিক স্কুলে ‘ম্যাথ ল্যাব’। —নিজস্ব চিত্র।

অঙ্ক চলুক আনন্দে। তার জন্য শুধু খাতার পাতায় অনুশীলনের মাধ্যমে নয়। হাতে কলমে নিতে হবে পাঠ। এই পদ্ধতিই গত সোমবার থেকে চালু হল আমতা-১ ব্লকের আওড়গাছি প্রাথমিক স্কুলে। পদ্ধতির পোশাকি নাম দেওয়া হয়েছে ‘কিডস ম্যাথ ল্যাব।’ এর জন্য আলাদা করে একটি শ্রেণিকক্ষ রাখা হয়েছে। তা সাজানো হয়েছে দেশলাই বাক্স, ইট, আইসক্রিমের কাঠির মতো হরেক কিসিমের উপকরণ দিয়ে। এছাড়াও শ্রেণিকক্ষটির দেওয়াল ও মেঝেতে বিভিন্ন ছক আঁকা হয়েছে।

Advertisement

প্রধান শিক্ষক প্রদীপরঞ্জন রীত বলেন, ‘‘দীর্ঘ অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছি পড়ুয়াদের একটা বড় অংশের মধ্যে অঙ্ক নিয়ে একটা ভীতি আছে। সেই ভয় দূর করতে শুধু পাঠ্যপুস্তকের মধ্যেই পড়ুয়াদের সীমাবদ্ধ রাখলে হবে না। তাদের হাতে কলমে অঙ্কের পাঠ দিতে হবে।’’ তবে পাঠ্যপুস্তকের বাইরে যাওয়া হবে না বলে জানান তিনি। তাঁর কথায়, ‘‘পাঠ্যপুস্তকে যা আছে সেটাই আরও প্রাঞ্জল করা হবে ম্যাথ ল্যাবের সহায়তা নিয়ে।’’

আওড়গাছি প্রাথমিক স্কুলটি প্রত্যন্ত এলাকায় অবস্থিত। পড়ুয়ার সংখ্যা ৬১।শিক্ষকের সংখ্যা তিন। সিংহভাগ পড়ুয়া আসে গরিব ও মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে। এই স্কুলে প্রাথমিক থেকে চতুর্থ পর্যন্ত পাঁচটি শ্রেণির পঠন পাঠন হয়। পাঠ্যপুস্তকে তৃতীয় শ্রেণি থেকে বিষয় হিসাবে অঙ্ক আছে। তবে প্রাথমিক থেকে দ্বিতীয় শ্রেণি পর্যন্ত পড়ুয়াদের অঙ্কের প্রাথমিক পাঠ দেওয়া হয়। এ বার সব পড়ুয়াকেই নতুন ম্যাথ ল্যাবে নিয়ে গিয়ে অঙ্ক শেখানো হবে।

Advertisement

এই নতুন পরিকোঠামো গড়তে খরচ হয়েছে প্রায় কুড়ি হাজার টাকা। দশ হাজার টাকা দিয়েছে জেলা প্রাথমিক স্কুল শিক্ষা সংসদ। বাকি টাকা খরচ করেছেন প্রধান শিক্ষক নিজে। ‘ম্যাথ ল্যাব’ চালু উপলক্ষে পড়ুয়াদের উৎসাহ ছিল দেখার মতো। অনেক অভিভাবকদের মধ্যেও অনেকে হাজির ছিলেন। প্রধান শিক্ষক জানান, চলতি শিক্ষাবর্ষ শেষ হয়ে এসেছে। আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে পুরোদমে শুরু হবে এই পাঠ।

জেলা প্রাথমিক স্কুল শিক্ষা সংসদের সভাপতি কৃষ্ণ ঘোষ এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, ‘‘আমরা প্রতিটি প্রাথমিক স্কুলকেই নানা বিষয়ে পড়ুয়াদের হাতে কলমে শিক্ষা দেওয়ার জন্য উৎসাহ দিয়ে থাকি। সরঞ্জাম কেনার জন্য স্কুলপ্রতি দশ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়। আওড়গাছি প্রাথমিক স্কুল যা করেছে তা প্রশংসার দাবি রাখে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন