Balagarh Block Administration

নাগরিক উদ্যোগে পশু হাসপাতালের জমি দেবে পঞ্চায়েত

উদ্যোক্তাদের মধ্যে শঙ্কর গুহ, সুব্রত সরকার, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, গৌতম সরকাররা সম্প্রতি প্রস্তাবিত জমি দেখে আসেন। বিডিও নিজেও ছিলেন। সঙ্গে ছিলেন পঞ্চায়েত প্রধান অসীম বৈদ্য এবং সঞ্জীব মাহাতো।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বলাগড় শেষ আপডেট: ২৯ অক্টোবর ২০২৩ ০৯:৩১
Share:

প্রস্তাবিত এই জমিতেই হবে পশু হাসপাতাল। —নিজস্ব চিত্র।

নাগরিক উদ্যোগে পশু হাসপাতাল গড়ে তুলতে উদ্যোগী হয়েছেন হুগলি জেলার কিছু মানুষ। এই উদ্যোগের সলতে পাকানো শুরু হয় মাত্র এক মাস আগে। এর মধ্যেই বিষয়টি জেনে এগিয়ে এসেছে বলাগড় ব্লক প্রশাসন এবং এখানকার চরকৃষ্ণবাটী পঞ্চায়েত।

Advertisement

বিডিও নীলাদ্রি সরকার এবং পঞ্চায়েতের সদস্য তথা প্রাক্তন প্রধান সঞ্জীব মাহাতো জানান, প্রস্তাবিত পশু হাসপাতালের জন্য ওই পঞ্চায়েত এলাকায় গঙ্গাপাড়ে কয়েক বিঘা জমি নিখরচায় ইজারা দেওয়া হবে। সেই প্রক্রিয়া চলছে। সঞ্জীব বলেন, ‘‘ওখানে খাসজমি রয়েছে। পঞ্চায়েতের তরফে সেই জমিই দেওয়া হবে।’’

উদ্যোক্তাদের মধ্যে শঙ্কর গুহ, সুব্রত সরকার, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, গৌতম সরকাররা সম্প্রতি প্রস্তাবিত জমি দেখে আসেন। বিডিও নিজেও ছিলেন। সঙ্গে ছিলেন পঞ্চায়েত প্রধান অসীম বৈদ্য এবং সঞ্জীব মাহাতো। গুপ্তিপাড়া স্টেশন এবং অসম লিঙ্ক রোড থেকে ওই এলাকা কয়েক কিলোমিটার দূরে। গঙ্গার ও পারে নদিয়ার ফুলিয়া। পাশে পূর্ব বর্ধমানের কালনা। শঙ্কর, সুব্রতদের কথায়, ‘‘ওই জমি লোকালয় থেকে দূরে। পশু হাসপাতাল করার জন্য আদর্শ জায়গা বলেই আমাদের মনে হয়েছে।’’

Advertisement

গৌতম জানান, জমি সংক্রান্ত কাজ দ্রুত সারার চেষ্টা করা হচ্ছে। পঞ্চায়েত ও প্রশাসনের সহায়তায় জমি পেলে অনেকটা চিন্তা দূর হবে। তবে হাসপাতাল ভবন-সহ যাবতীয় পরিকাঠামো তৈরির সার্বিক খরচও প্রচুর। নাগরিকদের সহযোগিতায় সেই খরচ তোলার চেষ্টা করা হবে। ইতিমধ্যেই অনেকে তাঁদের উৎসাহের কথা জানিয়েছেন। হাসপাতাল
গঠনের জন্য কমিটি গঠন করা হয়েছে। পরিকল্পনা রয়েছে, পথকুকুর, বিড়াল বা অন্য প্রাণী অসুস্থ বা জখম হলে, তাদের চিকিৎসা নিখরচায় করা হবে। পশুপালনের উপরে নির্ভর করে কষ্টেসৃষ্টে যাঁদের সংসার চলে, তাঁদের গৃহপালিত পশুর চিকিৎসাও প্রয়োজনে বিনা পয়সায় করা হবে।

রাস্তার কুকুর-বিড়ালকে অনেকেই খেতে দেন। প্রয়োজনে নিজেদের মতো করে পরিচর্যা বা চিকিৎসার ব্যবস্থাও করেন। কিন্তু প্রয়োজন বেশি হলে তাঁদের পক্ষে সেই চিকিৎসা সম্ভব হয় না। সমাজে এই ধরনের প্রাণীদের সুস্থ রাখতেই এমন নাগরিক উদ্যোগ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন