Becharam Slams Suvendu

শুভেন্দুকে আক্রমণ বেচারামের

সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নে বেচারামের দাবি, ২০১১ সালের পর থেকে হরিপালে কোনও বড় রাজনৈতিক মারামারি হয়নি। বিরোধীদের ঘরছাড়া হতে হয়নি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

হরিপাল শেষ আপডেট: ২৯ জানুয়ারি ২০২৪ ০৯:০১
Share:

বেচারামের নেতৃত্বে তৃণমূলের মিছিল। নিজস্ব চিত্র।

গত শনিবার হরিপালে সভা করে রাজ্যের মন্ত্রী তথা সিঙ্গুরের তৃণমূল বিধায়ক বেচারাম মান্না এবং তাঁর বিধায়ক-স্ত্রী করবী মান্নার জীবনযাত্রার ‘পরিবর্তন’ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। রবিবার হরিপালেই পাল্টা সভায় নাম না করে শুভেন্দুকে কার্যত ব্যক্তিগত আক্রমণ করলেন বেচারাম। শুভেন্দুকে ‘মিরজাফর’, ‘গদ্দার’ বলেও তিনি বেঁধেন। বেচারাম ছাড়াও সভায় হরিপালের বিধায়ক করবী ছিলেন।

Advertisement

সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নে বেচারামের দাবি, ২০১১ সালের পর থেকে হরিপালে কোনও বড় রাজনৈতিক মারামারি হয়নি। বিরোধীদের ঘরছাড়া হতে হয়নি। তিনি বলেন, ‘‘হরিপালে সিপিএম অনেক অত্যাচার করেছে। শুধু আমাদের নয়, নিজেদের লোককেও খুন করেছে। এখন বিরোধী দল এখানে রাজনীতি করতে পারে। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের পরে বিজেপি অশান্তি সৃষ্টি করতে চেয়েছিল। হরিপালের মানুষ রুখে দিয়েছেন। আবার লোকসভা নির্বাচন আসছে, শুভেন্দু অধিকারী বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করছে। হরিপালে মানুষ রুখে দেবেন।’’ সভার আগে বেচারামের নেতৃত্বে মিছিলও হয়।

বিজেপির রাজ্য সম্পাদক তথা পুরশুড়ার বিধায়ক বিমান ঘোষ বলেন, ‘‘তৃণমূলের সভা সুপার ফ্লপ। তা দেখে মন্ত্রীর মতিভ্রম হয়েছে। রাজ্যের একজন মন্ত্রী বিরোধী দলনেতা সম্পর্কে যে কুরুচিকর মন্তব্য করেছেন, তৃণমূলের পক্ষেই সম্ভব।’’

Advertisement

সিপিএমের হরিপাল এরিয়া কমিটির সম্পাদক মিন্টু বেরা বলেন, ‘‘দাদা-বৌদি কয়েক জন শিষ্যকে নিয়ে সন্ত্রাস চালাচ্ছেন। ২০১৩ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিডিও অফিসেই মারধর করে আমাদের মনোনয়ন জমা দিতে দেওয়া হয়নি। এ বার পঞ্চায়েত ভোটে গণনাকেন্দ্র থেকে আমাদের মেরে বের করে দিয়েছে। মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে
নিয়েছে তৃণমূল।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন