Sound Level Increased

বাজির শব্দমাত্রা বৃদ্ধির প্রতিবাদে রাজ্যকে চিঠি

অ্যাকাডেমির কর্ণধার বিশ্বজিৎ মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘রাজ্য সরকার শব্দমাত্রা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত থেকে অবিলম্বে সরে না এলে আমাদের আদালতের দ্বারস্থ হওয়া ছাড়া অন্য কোনও রাস্তা দেখছি না।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

চুঁচুড়া শেষ আপডেট: ০৩ নভেম্বর ২০২৩ ০৮:৪০
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

পশ্চিমবঙ্গে বাজির শব্দমাত্রা বৃদ্ধির প্রতিবাদে চন্দননগর পরিবেশ অ্যাকাডেমি রাজ্যের মুখ্যসচিব, দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ, রাজ্য পুলিশের ডিজি-সহ নানা দফতরে চিঠি দিল। পর্ষদ সম্প্রতি বাজির শব্দের মাত্রা বাড়ানোর নির্দেশিকা দেয়। ওই সংগঠনের দাবি, পর্ষদের সিদ্ধান্ত কার্যত ১৯৯৬ সালে কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি ভগবতীপ্রসাদ বন্দ্যোপাধ্যায়ের পর্ষদকে দেওয়া শব্দমাত্রা নিয়ন্ত্রণের অধিকারের পরিপন্থী।

Advertisement

অ্যাকাডেমির কর্ণধার বিশ্বজিৎ মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘রাজ্য সরকার শব্দমাত্রা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত থেকে অবিলম্বে সরে না এলে আমাদের আদালতের দ্বারস্থ হওয়া ছাড়া অন্য কোনও রাস্তা দেখছি না। কলকাতা, দিল্লি-সহ ভারতের বিভিন্ন বড় শহরের বাতাস দূষণে জর্জরিত। সব ক্ষেত্রেই দূষণে লাগাম দেওয়ার কথা বলা হচ্ছে। মুম্বইয়ে শব্দবাজি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আর সেখানে আমাদের রাজ্য উল্টোপথে হাঁটছে।’’ তাঁর আরও বক্তব্য, বাজি ব্যবসায়ীরা শব্দমাত্রা নিয়ন্ত্রণের প্রশ্নে বারবার কলকাতা হাই কোর্ট, সুপ্রিম কোর্টে গেলেও রায় তাঁদের বিরুদ্ধেই গিয়েছে সব সময়ে। তিনি বলেন, ‘‘বর্তমানে পর্ষদ শব্দমাত্রা বাড়ানোর যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তাও আদালতের আগের নির্দেশিকার বিরুদ্ধে গিয়েই নেওয়া হয়েছে। সেই কথা জানিয়েই রাজ্য সরকারকে চিঠি দিয়েছি।’’

উল্লেখ্য, বাজি ব্যবসায়ীদের তরফে শব্দমাত্রা শিথিলের দাবি বারে বরেই উঠেছে। ২০১৩ সালে গ্রিন ট্রাইব্যুনাল বাজির শব্দের মাত্রা নির্ধারণের জন্য রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদকে নির্দেশ দেয়। পর্ষদ কমিটি গঠন করে মতামত দেয়, বাজির শব্দসীমা ৯০ ডেসিবেলের বেশি করা যাবে না। তার আগেই ১৯৯৭ সালে পর্ষদ বাজির যে শব্দসীমা নির্ধারণ করেছিল, তা চলতি বছরের ৮ অক্টোবর পর্যন্ত বলবৎ ছিল। কিন্তু গত ১৭ অক্টোবর পর্ষদ শব্দবাজির ক্ষেত্রে নির্ধারিত সীমা ৯০ ডেসিবেলের থেকে শিথিল করে ১২৫ ডেসিবেল করার পরেই নানা মহলে প্রতিবাদ হচ্ছে। পরিবেশ রক্ষায় কাজ করা বিভিন্ন সংগঠন পর্ষদের ওই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে রাস্তায় নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন