Illegal Plotting

গঙ্গাপারের জমি ভরাট করে ‘প্লটিং’, অভিযোগ

কাউন্সিলর রাখি জানান, আগেও ওই জায়গায় বিধিবদ্ধ অনুমতি ছাড়াই প্রোমোটার গাছ কাটছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছিল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বৈদ্যবাটী শেষ আপডেট: ১২ জানুয়ারি ২০২৪ ১০:০০
Share:

এভাবেই বৈদ্যবাটী পুরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের চড়কডাঙায় গঙ্গার পাড় সংলগ্ন নিচু জমি ভরাট করে অবৈধভাবে প্লটিং করার অভিযোগ উঠল। নিজস্ব চিত্র।

গঙ্গার পার সংলগ্ন বৈদ্যবাটীর ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের চড়কডাঙায় নিচু জমি ভরাট করে অবৈধ ভাবে ‘প্লটিং’ করার অভিযোগ উঠল প্রোমোটারদের বিরুদ্ধে। রাতের অন্ধকারে জমি ভরাটের জন্য ট্রাকে করে মাটি নিয়ে আসার সময় রাস্তায় তা পড়ে অসুবিধার সৃষ্টি হচ্ছে বলেও এলাকাবাসীর অভিযোগ। তাঁরা বৃহস্পতিবার স্থানীয় কাউন্সিলরকে বিষয়টি জানান। অবিলম্বে ব্যবস্থা গ্রহণেরও দাবি তুলেছে তাঁরা।

Advertisement

ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রাখি সাধুখাঁ ‌এ দিনই পুরপ্রধানের কাছে লিখিত অভিযোগ জানান। পুরসভার তরফে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে ইঞ্জিনিয়ার পাঠানো হয়। উপ-পুরপ্রধান শান্তনু দত্ত বলেন, "পুরসভা বা প্রশাসনের তরফে ওই জমিতে প্লটিংয়ের কোনও অনুমতি দেওয়া হয়েছে কি না, দেখতে হবে। ইঞ্জিনিয়ারের রিপোর্ট জমা পারলে যদি দেখা যায়, সেখানে কোনও অবৈধ কাজ হয়েছে, তা হলে নির্মাণকারীদের চিহ্নিত করা হবে। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

কাউন্সিলর রাখি জানান, আগেও ওই জায়গায় বিধিবদ্ধ অনুমতি ছাড়াই প্রোমোটার গাছ কাটছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছিল। এখন সেখানে নিচু জমি ভরাট করার হচ্ছে প্লটিংয়ের জন্য। এ জন্য পুরসভা থেকে কোনও অনুমতি নেওয়া হয়নি বলে তাঁর দাবি।

Advertisement

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ওই জায়গায় আগে ইটভাটা ছিল। নিচু জমি ভরাটের কাদামাটি এলাকার বিভিন্ন রাস্তায় পড়ে থাকার ফলে, সকালের দিকে হাঁটাচলায় সমস্যা হচ্ছে। মাটিবোঝাই ট্রাক যাতায়াতের জন্য পুরসভার জলের পাইপ ফেটে জল বেরোচ্ছে। সেই জলে রাস্তা পিচ্ছিল হয়ে দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা রয়েছে। এখানে তিনটি স্কুলও রয়েছে। তব, কারা ‘প্লটিং’ করছে, তা নিয়ে নিশ্চিত ভাবে কিছু বলতে পারেননি এলাকাবাসী।

পুর-পরিষদ (পূর্ত) সুবীর ঘোষ বলেন, ‘‘আগের পুরবোর্ডে সিদ্ধান্ত হয়েছিল, এক বিঘা বা তার বেশি জায়গা ‘প্লটিং’ করতে হলে পুরসভা থেকে মাস্টারপ্ল্যান অনুমোদন করাতে হবে। প্লটিংয়ের জন্য এই জমির মাস্টারপ্ল্যান যদি না থাকে, তা হলে আমরা জমির কাজ বন্ধ করে দেব। এই জমির কোনও মিউটেশন বা বাড়ি করার জন্য নকশার অনুমতি দেওয়া হবে না।’’

ভূমি দফতরের এক আধিকারিক জানান, বিনা অনুমতিতে মাটি বহন করা যায় না। যদি কোনও জমির শ্রেণি পরিবর্তন করা হয়, সে জন্য অনুমতির প্রয়োজন। এ ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট ভাবে অভিযোগ পেলে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন