Theft

জেটি উধাও, বন্ধ ফেরি পরিষেবা

দু’টি ঘাটের ফেরি পরিষেবার ইজারাদার চুঁচুড়ার বিজয় কাহার। এ জন্য চুঁচুড়া পুরসভাকে তিনি টাকা দিয়েছেন। তাঁর অভিযোগ, ও পাড়ের এক বালি ব্যবসায়ী বেআইনি ভাবে জেটির ভাড়া চাইছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

চুঁচুড়া শেষ আপডেট: ২৪ জুন ২০২৩ ০৭:৫৩
Share:

এই ঘাট থেকেই উধাও হয়েছে জেটি। — নিজস্ব চিত্র।

লোহার জেটি উধাও নৈহাটির বৈষ্ণবঘাট থেকে। ফলে, বৃহস্পতিবার দুপুরের পর থেকে ওই ঘাটের সঙ্গে চুঁচুড়ার তামলিপাড়া ঘাটে ফেরি পরিষেবা পুরোপুরি বন্ধ। দুর্ভোগে যাত্রীরা। শুক্রবারেও দু’দিকের ঘাট থেকে ফিরেছেন বহু মানুষ। কবে পরিষেবা স্বাভাবিক হবে, দিশা দেখাতে পারছে না দুই পুরসভা।

Advertisement

দু’টি ঘাটের ফেরি পরিষেবার ইজারাদার চুঁচুড়ার বিজয় কাহার। এ জন্য চুঁচুড়া পুরসভাকে তিনি টাকা দিয়েছেন। তাঁর অভিযোগ, ও পাড়ের এক বালি ব্যবসায়ী বেআইনি ভাবে জেটির ভাড়া চাইছেন। না দেওয়ায় তিনিই বৈষ্ণবঘাটের জেটি খুলে নিয়ে যান। বৈষ্ণবঘাট সংলগ্ন এলাকার লোকজন জানান, বৃহস্পতিবার লঞ্চের পিছনে বেঁধে জেটিটি গঙ্গা দিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।

হুগলি জেলা প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, ‘‘ইজারা দেওয়ার পরে জেটির জন্য আলাদা ভাড়া হওয়ার কথা নয়। এ ক্ষেত্রে কী হয়েছে, দেখা হচ্ছে।’’ হুগলি-চুঁচুড়ার পুর পারিষদ (পূর্ত) সৌমিত্র ঘোষ বলেন, ‘‘ঘাট বন্ধের কথা শুনেছি। নৈহাটি পুরসভার সঙ্গে কথা বলতে হবে।’’

Advertisement

নৈহাটির পুরপ্রধান অশোক চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আগে যাঁরা বরাত পেয়েছিলেন, তাঁরাই জেটি লাগিয়েছিলেন। বর্তমান বরাতদার আগের লোকের থেকেই টাকার বিনিময়ে জেটি ভাড়া নিয়েছেন, শুনেছিলাম। সেটি খুলে নিয়েছে, জানতাম না। এ বারের বরাত চুঁচুড়া পুরসভা দিয়েছিল। ওরাই ভাল বলতে পারবে।’’

দুই পুরসভার খবর, তিন বছর অন্তর দুই জেটির দায়িত্ব হাতবদল হয়। গত অগস্ট থেকে চুঁচুড়া পুরসভার তরফে তামলিপাড়া ঘাট থেকে ফেরি পরিষেবার ইজারা পান উত্তরপাড়ার সুদীপ্ত দে। ‘পাওয়ার অব অ্যাটর্নি’-র মাধ্যমে সুদীপ্তর থেকে দায়িত্ব পান বিজয়। মাসিক আড়াই লক্ষ টাকার বিনিময়ে ঘাট চালান তিনি।

বিজয়ের অভিযোগ, ‘‘প্রথম থেকেই বৈষ্ণবঘাটের এক বালি ব্যবসায়ী অনৈতিক ভাবে প্রতি মাসে জেটিভাড়া বাবদ ৬০ হাজার টাকা করে চাইছিলেন। হুমকি দেওয়ায় ভয়ে কয়েক মাস দিই। তার পরে বন্ধ করে দেওয়ায় জেটি খুলে নিয়ে গেল।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন