Coronavirus in West Bengal

কোভিড রোগীর দেহ বদলের অভিযোগ হাওড়ার হাসপাতালে

রবিবার সকালে মৃত ব্যক্তির আত্মীয়রা হাসপাতালে পৌঁছলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাঁদের একটি মৃতদেহ দেখান। তখন মৃতের ছেলে মোর্তাজা আলি মিদ্দা জানন, ওই দেহ তাঁর বাবার নয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

হাওড়া শেষ আপডেট: ১৯ এপ্রিল ২০২১ ১৩:৩০
Share:

বালটিকুরি কোভিড হাসপাতাল। নিজস্ব চিত্র।

কোভিড আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হওয়ার পর সরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে ৭০ বছরের এক বৃদ্ধের। সেখানেই দেহ বদলের অভিযোগ উঠল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। এই ঘটনার জেরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে হাওড়া জেলার বালটিকুরি ইএসআই কোভিড হাসপাতালে। অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে থানায়।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে খবর, হাওড়া জেলার আমতার বাসিন্দা আশরাফ আলি মিদ্দা (৭০) গত ১৫ এপ্রিল হৃদ্‌রোগের সমস্যা নিয়ে ভর্তি হন আমতা গ্রামীণ হাসপাতালে। জ্বর থাকায় সেখানে তাঁর কোভিড পরীক্ষা করা হয়। সেই পরীক্ষার ফল পজিটিভ আসায় ওই বৃদ্ধকে স্থানান্তরিত করা হয় বালটিকুরি ইএসআই কোভিড হাসপাতালে। সেখানেই চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। গত ১৭ এপ্রিল শনিবার দুপুর আড়াইটে নাগাদ মৃত্যু হয় তাঁর। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ খবর দেয় মৃতের বাড়িতে। কিন্তু ওই দিন বাড়ির লোকজন ডোমজুড় বিডিও অফিস থেকে কাগজপত্র আনতে দেরি করায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পরিবারের লোককে দেহ দেননি। রবিবার সকালে মৃত ব্যক্তির আত্মীয়রা হাসপাতালে পৌঁছলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাদের একটি মৃতদেহ দেখান। তখন মৃতের ছেলে মোর্তাজা আলি মিদ্দা জানন, ওই দেহ তাঁর বাবার নয়। এবং তিনি দেহ নিতে অস্বীকার করেন।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কিছু না জানালেও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার বিকালে হাসপাতালের মর্গে মোট পাঁচটি দেহ ছিল। যার মধ্যে চারটি দেহ শনাক্তকরণের পর কোভিড নিয়ম মেনে সৎকার করা হয়েছে। একটি দেহ মর্গে পড়েছিল। কোনও এক মৃতের পরিবারের ভুলে দেহ বদলের ঘটনা ঘটেছে বলে অনুমান পুলিশের। রবিবার রাতে মৃত আশরাফ আলির ছেলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে বাঁকড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। তাঁদের অভিযোগ, হাসপাতালের কর্মীদের গাফিলতির কারণেই এই ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করছে। মর্গে থাকা দেহটি শনাক্তের জন্য সৎকার হওয়া মৃত রোগী পরিবারের লোকেদেরও খবর দেওয়া হয়েছে।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন