Corona Vaccine

HoWrah District Administration: জোগান সামান্য, মায়েদের প্রতিষেধক দিতে নাকাল হাওড়া

দিন কয়েক আগে হাওড়ায় শুরু হয়েছিল শিশুদের স্তন্যপান করানো মায়েদের প্রতিষেধক দেওয়ার কাজ।

Advertisement

দেবাশিস দাশ

কলকাতা শেষ আপডেট: ২০ জুলাই ২০২১ ০৬:২৪
Share:

প্রতীকী ছবি।

প্রতিষেধকের তীব্র আকাল চলছে এখনও। ফলে, হাওড়ায় শুরুতেই ধাক্কা খেল দু’বছর বয়স পর্যন্ত স্তন্যপান করা শিশুর মায়েদের প্রতিষেধক দেওয়ার কর্মসূচি। ১২ বছর বয়স পর্যন্ত বাচ্চার মায়েদের প্রতিষেধক দেওয়ার কর্মসূচিরও বেহাল অবস্থা। তাই করোনার তৃতীয় ঢেউ আসার আগে হাওড়ার প্রায় ছ’লক্ষ মাকে প্রতিষেধক দেওয়া আদৌ সম্ভব কি না, তা নিয়েই অনিশ্চয়তায় জেলা স্বাস্থ্য দফতর।

Advertisement

দিন কয়েক আগে হাওড়ায় শুরু হয়েছিল শিশুদের স্তন্যপান করানো মায়েদের প্রতিষেধক দেওয়ার কাজ। পুরোপুরি পৃথক শিবির তৈরি করে চলছিল সেই কর্মসূচি। কিন্তু জেলায় প্রতিষেধকের সরবরাহ ঠিকমতো না-আসায় সেই কর্মসূচি কার্যত থমকে গিয়েছে। জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, হাওড়ায় শিশুদের স্তন্যপান করানো মায়ের সংখ্যা প্রায় ১ লক্ষ ৩০ হাজার। প্রতিদিন ৩০ হাজার মাকে প্রতিষেধক দেওয়ার উদ্দেশ্যে ওই কর্মসূচি শুরু হয়েছিল। কিন্তু বর্তমানে প্রতিষেধকের দৈনিক সরবরাহের সংখ্যা নেমে এসেছে পাঁচ-দশ হাজারে। দিন কয়েক আগে এক বারই ৩০ হাজার ডোজ় এক দিনে পাঠানো হয়েছিল। যার মধ্যে হাওড়া পুরসভার ১৭টি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ১৫ হাজার ডোজ় দিতে গিয়ে বাকি জেলা প্রায় কিছুই পায়নি।

জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, গত এপ্রিল-মে মাসে যে ভাবে প্রথম ডোজ়ের প্রতিষেধক দেওয়া হয়েছিল, তার গতি বর্তমানে অনেকটাই কমে গিয়েছে। প্রতিষেধকের আকাল হওয়ায় সমস্যা দেখা দিয়েছে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দ্বিতীয় ডোজ় দেওয়া নিয়ে। এখন যেটুকু প্রতিষেধক আসছে, তা দ্বিতীয় ডোজ় দিতে গিয়েই শেষ হয়ে যাচ্ছে।

Advertisement

জেলা স্বাস্থ্য দফতরের এক পদস্থ অফিসার বললেন, ‘‘এখন আমাদের কাছে দ্বিতীয় ডোজ় দেওয়াটাই অগ্রাধিকার। তাই সেটা দিতে গিয়ে আর নতুন করে প্রথম ডোজ় দেওয়ার কথা ভাবতেই পারছি না। কারণ, প্রতিদিন এখন পাঁচ থেকে দশ হাজার করে ডোজ় আসছে।’’ তিনি জানালেন, ঠিক এই কারণেই শিশুকে স্তন্যপান করানো মায়েদের প্রতিষেধক দেওয়ার কর্মসূচি প্রায় বন্ধ হতে বসেছে। গত কয়েক দিনের মধ্যে ওই তালিকাভুক্ত ১ লক্ষ ৩০ হাজার মায়ের মধ্যে মাত্র পাঁচ-ছ’হাজার জনকে প্রতিষেধক দেওয়া সম্ভব হয়েছে।

এর আগে ঠিক হয়েছিল, তৃতীয় ঢেউয়ে শিশুদের আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকায় ১২ বছর বয়স পর্যম্ত বাচ্চার মায়েদের প্রতিষেধক দেওয়ার বিষয়টিকে প্রাধান্য দেওয়া হবে। তৃতীয় ঢেউয়ের দাপট কমাতে এটাই অন্যতম পদ্ধতি বলে ভাবা হয়েছিল। কিন্তু জেলা স্বাস্থ্য দফতরের মতে, এখন যা অবস্থা, তাতে তৃতীয় ঢেউয়ের আগে জেলার প্রায় ছ’লক্ষ মাকে প্রতিষেধক দেওয়া কতটা সম্ভব, তা নিয়ে চিন্তা রয়েছে। কারণ, বর্তমানে প্রতিষেধক বেশি না আসায় দ্বিতীয় ডোজ় দিতেই হিমশিম অবস্থা হচ্ছে।

জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক নিতাইচন্দ্র মণ্ডল বললেন, ‘‘প্রতিষেধক কম আসায় বর্তমানে দু’বছর পর্যন্ত বয়সি শিশুর মায়েদেরই প্রতিষেধক দেওয়ার চেষ্টা চলছে। বাকি মায়েদের প্রতিষেধক দেওয়ার পরিকল্পনা থাকলেও আপাতত তা হচ্ছে না।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন