Cyclone Jawad

Cyclone Jawad: জওয়াদ শঙ্কা: আগাম না জানিয়ে বন্ধ ফেরিঘাট, ভোগান্তিতে যাত্রীরা

জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের সতর্কতা হিসাবে শনি ও রবিবার দু’দিন বন্ধ থাকবে ফেরিঘাট।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদাতা

হুগলি শেষ আপডেট: ০৪ ডিসেম্বর ২০২১ ১৬:১২
Share:

বন্ধ ফেরিঘাট নিজস্ব চিত্র

ঘূর্ণিঝড় ‘জওয়াদ’-এর আশঙ্কায় হুগলির ও উত্তর ২৪ পরগনার গঙ্গার দুই পারে সমস্ত ফেরিঘাটগুলি বন্ধ করে দিল প্রশাসন। শুক্রবার রাতেই এই সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু, প্রশাসনের সিদ্ধান্ত যাত্রীরা না জানার ফলে সাতসকালে ফেরিঘাটে এসে ফিরে যেতে হয়েছে তাঁদের। অনেকেই আবার গন্তব্যে প‌ৌঁছনোর জন্য বিকল্প পথ বেছে নিয়েছেন।

হুগলি জেলা প্রশাসনের নির্দেশে সকাল সাড়ে ছ’টায় বন্ধ করে দেওয়া হয় জেলার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ চুঁচুড়া-নৈহাটি ফেরি পারাপার। চুঁচুড়া থেকে উত্তরপাড়া, চন্দননগর, ভদ্রেশ্বর, তেলেনিপাড়া ঘাট, শ্রীরামপুর শেওড়াফুলি-সহ অন্যান্য সব ফেরিঘাট বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়। জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের সতর্কতা হিসাবে শনি ও রবিবার দু’দিন বন্ধ থাকবে ফেরিঘাট।

Advertisement

তবে, এই নির্দেশ আগে থেকে না জানার ফলে যাত্রীরা ভোগান্তির মুখে পড়ছেন। কেউ কেউ বিকল্প পথে পাড়ি দিচ্ছেন গন্তব্যে। চুঁচুড়া ফেরিঘাটের এক যাত্রী গৌতম দত্ত জানান, ‘‘কল্যাণীতে অফিস যাব বলে বেরিয়েছিলাম লঞ্চঘাটের উদ্দেশ্যে। এসে শুনলাম, বন্ধ রয়েছে। অফিসে যেতেই হবে। বাড়ি ফিরে গিয়ে স্কুটার নিয়ে বার হব।’’ একই পরিস্থিতি ফেরিযাত্রী সুভাষ দাসের। তিনি বলেন,‘‘সকাল থেকে ফেরি বন্ধ থাকবে জানতাম না। ঘাটে এসে জানলাম। ব্যান্ডেল-নৈহাটি ট্রেনে করে যেতে হবে।’’

প্রশ্ন উঠছে, জওয়াদের সতর্কতা বিষয়ে পূর্বাভাস থাকলেও কেন ফেরি পরিষেবা বন্ধের খবর আগে যাত্রীদের জানানো হল না? চুঁচুড়া-নৈহাটি ফেরিঘাটের কর্মী সুরেন্দ্র সাহানি বলেন,‘‘গতকাল রাত দশটায় জেলাশাসক দফতর থেকে জানানো হয়, ফেরিঘাট বন্ধ রাখতে হবে। সে কারণে যাত্রীদের আগাম জানানো যায়নি।’’ ঘুরপথে কেউ যাতে নৌকা করে পারাপার না করেন, তার জন্য পুলিশি নজরদারী চলছে।

Advertisement

ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলেও ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কোনও রকম ঝুঁকি নিতে নারাজ জেলা প্রশাসন। নিত্যযাত্রী শুভদীপ বিশ্বাস জানিয়েছেন, ‘‘প্রতিদিন আমরা এই ফেরিঘাটের উপরে নির্ভর করেই নিজেদের কাজে যাই। আজ বন্ধ করে দেওয়ায় অনেকটা পথ ঘুরে কাজে পৌঁছতে হবে।’’ ব্যারাকপুরের মহকুমা শাসক অভ্র অধিকারী জানিয়েছেন, ‘‘কোনও রকম ঝুঁকি নেওয়া হচ্ছে না। প্রত্যেকটি পুরসভায় আলাদা করে কন্ট্রোল রুম করা হয়েছে। মাইকিং করা হচ্ছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন